যার নাম আছে, তার বদনাম আছে: শ্রাবন্তী

অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ইনস্টাগ্রাম থেকে

অভিনয়জীবনের ২৫ বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। একের পর এক হিট সিনেমায় অভিনয় করে যেমন পরিচিতি পেয়েছেন, তেমনি ব্যক্তিগত সম্পর্কের কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রূপও করা হয়েছে তাঁকে। নতুন সিনেমা, ব্যক্তিগত জীবনসহ নানা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর সঙ্গে কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
ইনস্টাগ্রাম থেকে

শ্রাবন্তী সম্প্রতি অংশ নিয়েছেন রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমার প্রচারে। আজ শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। আলাপের শুরুতেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বসন্ত কেমন কাটছে? উত্তরে শ্রাবন্তী বলেন, ‘এই বসন্ত শুধু কাজ করেই কাটছে। শো, শুটিং, নতুন ছবির প্রোমোশন। এখন কাজের সঙ্গেই প্রেম।’

১৯৯৭ সালে ‘মায়ার বাঁধন’ সিনেমা দিয়ে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন শ্রাবন্তী। ফিরে তাকালে কী মনে হয়? অভিনেত্রী বলছেন, ‘অনেক কিছু দেখলাম, অনেক ধরনের চরিত্রের সাক্ষী রইলাম। এত ছোটবেলা থেকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি, একটা সময় সিরিয়ালও করেছি। অভিনয় আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে। অভিনয়ের মধ্যেই থাকতে চাই। প্রচুর স্ট্রাগলও করেছি। ১৬–১৭ বছরে মা হয়েছি। পরিবারের সাপোর্ট ছাড়া কিছুই করতে পারতাম না। কারণ, তখন আমি তো নিজেই ছোট। মা-দিদি-বাবা সবার সাহায্য ছাড়া কিছুই পারতাম না, এখনো তাই। ওদের সমর্থন ছাড়া এতটা দূর এগোতে পারতাম না। এটার জন‌্য নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়।’

আরও পড়ুন

‘সাদা রঙের পৃথিবী’ সিনেমায় দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে শ্রাবন্তীকে। এই প্রথম একই সিনেমায় ইতিবাচক ও নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। অভিনেত্রী বলছেন, বিধবা পাচার ছবির বিষয়। সিরিয়াস ইস্যু নিয়ে ছবি।

কিছুদিন আগেই নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ‌্যায়ের ছবি ‘আমার বস’-এর কাজ শেষ হয়েছে। যেখানে রাখি গুলজারের সঙ্গে শ্রাবন্তী পর্দা ভাগ করেছেন।

শ্রাবন্তী
ইনস্টাগ্রাম থেকে

সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে তিনি বলেন, ‘ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতা। এত সুন্দরী, আমি তো ওর দিকে হা করে তাকিয়েই ছিলাম। আমার বাবার বিশাল ক্রাশ উনি। মা–বাবা দুজনেই খুব রোমাঞ্চিত। রাখি গুলজারকে দেখলাম শট শুরু হওয়ার আগে মজা করছেন, কিন্তু শট শুরু হতেই সিরিয়াস। ওই সুইচ অন-অফটা দারুণ পারেন। উনি কিংবদন্তি, ওকে দেখতেই থাকতাম আমি।’

কথায় কথায় আসে সমালোচনার প্রসঙ্গও। প্রায়ই কারণে-অকারণে বিদ্রূপের শিকার হন শ্রাবন্তী। যখন এমন সমালোচনা হয়, নিজেকে সামলান কীভাবে? অভিনেত্রীর জবাব, ‘সমালোচনা সবাইকে নিয়ে হয়। যার নাম আছে, তার বদনাম আছে। মানুষ হিসেবে একসময় এগুলো হলে খারাপ লাগত। এত লোকের তো এত কিছু হয়, কেন আমাকে নিয়েই এমন হচ্ছে, মনে হতো। কারুর কারুর স্বভাব আছে, লোকজনকে নিয়ে সমালোচনা করার। এখন আর এসবে কিছু যায়-আসে না। কারণ, আমি জানি, জীবন খুব অনিশ্চিত। আজ আছি, কাল নেই। বর্তমানে বাঁচি।’

জীতু কমলের সঙ্গেও শ্রাবন্তীর সম্পর্ক নিয়ে কথা উঠেছিল অভিনেতার বিচ্ছেদের সময়। সেটা কি প্রভাবিত করেছিল? অভিনেত্রী বললেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর। আমি জানি না আমাকে নিয়ে কেন এত লোকের সমস‌্যা। জীতুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক, লন্ডনে আমরা দুটো ছবির শুটিং করেছিলাম, যেখানে জীতুর সাবেক স্ত্রীও গিয়েছিল। ওর সঙ্গেও আমি অনেক ঘুরেছি। প্রচুর খাওয়াদাওয়া করেছি। যখন আমাকে নিয়ে এই কথা উঠেছিল, আমি খুব হেসেছিলাম। আমি জানি সত্যিটা কী। এ রকম কোনো ব‌্যাপারই নয়। লোকে যা ভাবছে ভাবুক।’