শতাব্দী ওয়াদুদের মুনশিয়ানা কোথায়?
চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ, সিনেমা, নাটক কিংবা মঞ্চ—সব মাধ্যমেই সরব উপস্থিতি অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদের। বেশির ভাগ সময় তাঁকে দেখা যায় বৈচিত্র্যপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করতে। প্রতিটি চরিত্রেই নিজস্বতার ছাপ রাখেন এই অভিনেতা। তাঁর অভিনীত চরিত্রের মধ্য দিয়েই দর্শক খুঁজে পান মুনশিয়ানা।
কখনো পুলিশ, কখনো খুনি, কখনো ঢোলবাদক বা প্রতিবাদী নানাবিধ চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরেন শতাব্দী ওয়াদুদ। নানাবিধ চরিত্রে নিজেকে তুলে ধরতে তাঁর মুনশিয়ানার ছাপ কোথায়?
এই নিয়ে প্রথম আলোয় এক সাক্ষাৎকারে শতাব্দী বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে ৬০০ কোটির বেশি মানুষ, একেকজন একেক ধরনের। বিভিন্ন চরিত্রে কিন্তু আমি শতাব্দী ওয়াদুদই অভিনয় করছি। যখন যে চরিত্রই পাই, পরিচালকের চাহিদামতো সেটা পর্দায় তুলে আনি। এখানেই আমার মুনশিয়ানা। যদিও কাজটা সহজ নয়। কিন্তু দীর্ঘদিন থিয়েটারের অভিজ্ঞতা থাকায় আমার জন্য সুবিধা হয়েছে।’
বর্তমান সময়ে অনেক অভিনেতাই কাজের সমালোচনা নিতে পারেন না। অসংখ্য ইতিবাচক ও নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি পর্দায় নেতিবাচক ও ইতিবাচক দুই ধরনের চরিত্রেই কাজ করছি। আমার কাজ দেখে কেউ সমালোচনা করলে আমি নিতে পারি। আমি মনে করি, সৃজনশীল কেউ যদি সমালোচনা নিতে না পারেন, সেটা তাঁর দৈন্য।’
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক চরিত্রের ভেতরই হারিয়ে গেছেন। তবে সেটা দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়। এই অভিনেতা মনে করেন, এক চরিত্র থেকে বের না হলে অন্য চরিত্রে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে যায়। অভিনীত কোনো চরিত্র এখনো মনের কোণে জায়গা দখল করে আছে কি না, এমন প্রশ্নে শতাব্দী বলেন, ‘না। আগের চরিত্র থেকে বের হতে না পারলে, মাথা খালি না করলে তো নতুন চরিত্রে ঢুকতে পারব না। তবে প্রিয় চরিত্রের কথা যদি বলেন, “আগস্ট ১৪”-এর খালিদ আমার অন্যতম পছন্দের চরিত্র।’ শিহাব শাহীন পরিচালিত সিরিজ ‘আগস্ট ১৪’–তে এই অভিনেতাকে পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার চরিত্রে দেখা যায়।
শৈশব থেকেই বলা যায়, মঞ্চে অভিনয়ের হাতেখড়ি। তবে অভিনয়ের জন্য কখনোই পড়াশোনায় অমনোযোগী হননি। সমানতালে চালিয়ে গেছেন অভিনয়চর্চা। এ প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, ‘আমি অষ্টম-নবম শ্রেণিতে থাকা সময়েই রাত আটটা–নয়টা পর্যন্ত মঞ্চে অভিনয়ের চর্চা করেছি। কারণ, দক্ষ অভিনেতা হতে হলে সবার আগে অভিনয়ের জন্য নিয়মিত চর্চা প্রয়োজন।’ তিনি বলেন, ‘পেশাদার অভিনেতা তৈরিতে মঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি মঞ্চের মানুষ, আমি বলব, কেউ মঞ্চে সঠিক দিকনির্দেশনায় অভিনয় করলে শতকরা ৮০ শতাংশ অভিনেতা তাঁকে মঞ্চই বানিয়ে দেয়।’