ঈদে তৌসিফ, আইশাদের ‘বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেস্টফ্রেন্ড ফ্রি’

‘বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেস্টফ্রেন্ড ফ্রি’ নাটকের দৃশ্য। ছবি : বাংলাভিশনের সৌজন্যে

সাত দিনব্যাপী ঈদের আয়োজন করেছে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। একক নাটক, চলচ্চিত্র, ধারাবাহিক নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, গানের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠানসহ নানা বৈচিত্র্যময় আয়োজনে সাজানো হয়েছে চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে বাংলাভিশনে ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ১০টা ৪০ মিনিটে প্রচারিত হবে ঈদের নাটক ‘বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেস্টফ্রেন্ড ফ্রি’।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, তৌসিফ মাহবুব, আইশা খান ও রোদসী সিদ্দিকাকে নিয়ে পরিচালক জুটি অমিতাভ আহমেদ রানা ও সুব্রত মিত্র নির্মাণ করেছেন এ নাটক। নাটকটিতে অতিথি শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন মিলি বাসার ও আজম খান।

আরও পড়ুন

নাটকটির গল্পে দেখা যাবে মির্জা ও তিথির প্রেমের বয়স প্রায় ছয় মাস। তিন মাস ধরে তিথি প্রায় প্রতিদিনই মির্জার মা–বাবার সঙ্গে দেখা করতে চায়। অথচ মির্জার ব্যস্ততা, কোনো দিন মির্জার বাবা বাসায় নেই, তো অন্য দিন মা অসুস্থ ইত্যাদি নানা অজুহাতে মির্জা তাকে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে না।

‘বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেস্টফ্রেন্ড ফ্রি’ নাটকের দৃশ্য। ছবি : বাংলাভিশনের সৌজন্যে

একপর্যায়ে তিথির যেন সন্দেহ হয়। কেন মির্জা নিজের পরিবারকে তিথির কাছ থেকে আড়াল করতে চাইবে? কারণটা জানা জরুরি। সেই লক্ষ্যে তিথি আজ মির্জাকে একপ্রকার বাধ্যই করে তাকে মির্জাদের বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। মির্জার বাসার দরজা খুলতেই তিথি চমকে যায়। এক তরুণী দরজা খুলেই মির্জাকে দেখে খুশিতে জড়িয়ে ধরে তার নিজের চাকরির প্রমোশনের সুসংবাদ দেয়। নিজের হবু শ্বশুর–শাশুড়িকে সারপ্রাইজ দিতে এসে তিথি নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে যায়। জানা যায়, তরুণীর নাম কাজল। নাম শুনেই তিথি বুঝতে পারে, এই সেই কাজল, যাকে মির্জা নিজের বেস্টফ্রেন্ড বলে দাবি করে এসেছে এত দিন। তিথি তো ভেবেছিল, কাজল কোনো ছেলের নাম।

বাসায় ঢোকার পর তিথি জানতে পারে, কোনো এক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মির্জার মা–বাবা হঠাৎ করেই দেশের বাড়িতে গেছে। তাই কাজলকে ফোন করে বাসায় আসতে বলে মির্জার মা, যেন কাজল মির্জার জন্য দুপুরের ও রাতের খাবার তৈরি করে দিয়ে যেতে পারে।

‘বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেস্টফ্রেন্ড ফ্রি’ নাটকের দৃশ্য। ছবি : বাংলাভিশনের সৌজন্যে

কাজলের অফিস আজ বন্ধু থাকায় সে চলে আসতে পেরেছে। তিথির মনে প্রশ্ন আসে, এত বড় একটা ঘটনা কেন মির্জাকে ফোন করে জানানো হলো না? জানা যায়, এটা নাকি এমন কোনো বড় ঘটনা নয়। মির্জার মা–বাবা বাসায় না থাকলে কাজলকেই নাকি বাসার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে যায়। মির্জার ওপর ভরসা পায় না তার মা। তিথিও যেন মির্জার ওপর ভরসা হারাতে থাকে। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের মূল গল্প। নাটকটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন সুমন হোসেন এবং সম্পাদনায় রমজান আলী।

বয়ফ্রেন্ডের সাথে বেস্টফ্রেন্ড ফ্রি’ নাটকের দৃশ্য। ছবি : বাংলাভিশনের সৌজন্যে