করোনার কারণে বাতিল হচ্ছে চীনের সাংহাই চলচ্চিত্র উৎসব

গত বছরের আয়োজন ছিল জমকালো
ছবি: সংগৃহীত

এ বছর একাডেমি পুরস্কার অস্কারের বাধা হতে পারেনি করোনাভাইরাস। সম্প্রতি শেষ হওয়া কান চলচ্চিত্র উৎসব ফিরেছিল নতুন আমেজে। সেখানে ছিল না করোনা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কিংবা কঠোর নির্দেশনা। চলচ্চিত্র উৎসবগুলো যেখানে দীর্ঘ আড়াই বছর পরে প্রাণ ফিরে পাচ্ছিল, সেখানে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটছে এবার চীনে। দেশটির মর্যাদাপূর্ণ সাংহাই চলচ্চিত্র উৎসব করোনাসংকটের কারণে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব চীনের সবচেয়ে সম্মানজনক উৎসব
ছবি: সংগৃহীত

চীন ও বিশ্বের একাধিক প্রথম সারির গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব চীনের সবচেয়ে সম্মানজনক উৎসব। কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি এ বছর বাতিল ঘোষণা করেছে। চলতি জুনের মাঝামাঝি উৎসবটি হওয়ার কথা ছিল। ২৫ তম এই সংস্করণ আগামী বছর ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত হবে। তবে উৎসবের সংগঠকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘করোনা পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় সেটার ওপর আমরা নজর রাখছি। যদি পরিস্থিতি অনুমোদন দেয় তাহলে, আমরা চেষ্টা করব জুন ও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কোনো সময়ে উৎসবটি করা যায় কি না, সেটা নিয়ে ভাবতে।’

এ বছরের পোস্টার
ছবি: সংগৃহীত

উৎসব অর্গানাইজারদের পক্ষ থেকে চলতি উৎসব বাতিল করা প্রসঙ্গে প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, ‘নতুন করে করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবের কারণে উৎসবটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই কারণে চীনের গুরুত্বপূর্ণ শহরে বাড়তি জনসমাগম নিষেধ।’ আরও জানা যায়, পয়লা জুন থেকে শহরের বিভিন্ন স্থান লকডাউনের পর পুনরায় খুলে দেওয়া হয়। যে কারণে রাস্তা এবং পাবলিক বাসগুলো থেকে করোনা আবার ছড়িয়ে পড়ার আশু আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, হচ্ছে অনেকে। সিনেমা প্রেক্ষাগৃহগুলোতে পুরনায় আসন ফাঁকা রেখে চলছে। তবে করোনা টিকা ছাড়া সিনেমা হলোগুলোতে ঢুকতেও সম্পূর্ণ ভ্যাসিনেটেড হতে হবে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে পুনরায় খোলে দেওয়ার পর থেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার প্রত্যাবর্তন দেখেছেন।’

সম্প্রতি সময়ে করোনা বাড়ার কারণে চীনের অর্থনীতি আবারও করোনার প্রথম দিকের মতো হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০২০ সালের শুরু হওয়া করোনা মহামারির কারণে সিনেমার সবচেয়ে বড় বাজার চীন এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সিনেমার আদার প্রদান ও করতে পারছে না। যে কারণে হলিউডের অনেক সিনেমা মুক্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না চীনে প্রেক্ষাগৃহগুলোতে। ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের কারণে গত এপ্রিল থেকে চীনের অনেক শহরে লকডাউন দেওয়া শুরু হয়। গত দুই দিনে চার লাখের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।