৪ জন নেওয়া হবে, তিনি গিয়ে দেখেন ৮ শ জন হাজির, তারপর...

অভিনেতা কোজি ইয়াকুশো। ছবি: আইএমডিবি

অভিনেতা হওয়ার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিল না। বাউন্ডুলে জীবন যাপন করতেন। ১৯৭৬ সালের দিকে এই তরুণ একদিন রাস্তায় দেখতে পান নতুন একটা নাটকের পোস্টার সাঁটানো। নাম ‘দ্য লোয়ার ডেপথস’। নাটকটির রচয়িতা ম্যাক্সিম গোর্কি। সেদিনই নাটকটি দেখেন। নাটকের পাত্র–পাত্রীদের অভিনয় দেখে অনুপ্রাণিত হন কোজি ইয়াকুশো। সেই কোজিই এবার কান চলচ্চিত্রে জিতলেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার। তবে গল্পটা সহজ ছিল না। জাপানিজ টাইমস অবলম্বনে সে গল্পই জেনে নেওয়া যাক।

অভিনেতা কোজি ইয়াকুশো। ছবি: আইএমডিবি

পরে কোজি ইয়াকসু দুই বছর মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। একদিন জানতে পারেন টেলিভিশনেও অভিনয়ের সুযোগ আছে। মাত্র চারজন এই সুযোগ পাবেন। কিন্তু অডিশনে গিয়ে দেখেন, ৮০০ জন আবেদন করেছেন। সেদিনই ভেবেছিলেন, চারজন নয়, একজন নিলেও জায়গা করে নেবেন। এই মনোবলই তাঁকে চারজনের মধ্যে জায়গা করে দেয়। পরে তিনি সমানতালে নাটক ও সিনেমায় অভিনয় করে যান। দীর্ঘ চার যুগের ক্যারিয়ারে তিনি হয়ে ওঠেন জাপানের কিংবদন্তি অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে একজন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয়ে নামীদামি স্বীকৃতি পেলেও এবারই প্রথম কান চলচ্চিত্র উৎসবের সেরা অভিনেতার পুরস্কার বিজয়ী হন।

পুরস্কার হাতে অভিনেতা কোজি ইয়াকুশো। ছবি: আইএমডিবি

পুরস্কার হাতে নিয়ে কোজি ইয়াকুশো বলেন, ‘পরিচালক ভিম ভেন্ডার্স চরিত্র নিয়ে সামান্য তথ্য দিয়েছিলেন। বুঝতে পেরেছিলাম, চরিত্রে অনেক রহস্য ছিল। আমি এখনো এই রহস্যের অনেক কিছুই জানি না। আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম আমি খুব স্বল্প সময়ে, কোনো রিহার্সাল ছাড়া অভিনয় করেছি। এই চরিত্র আমাকে পুরস্কৃত করল। কৃতজ্ঞতা ভিম।’

‘পারফেক্ট ডেজ’ সিনেমার পোস্টার। ছবি: আইএমডিবি

কোজি ইয়াকসু ‘পারফেক্ট ডেজ’ সিনেমায় অভিনয় করে পুরস্কারটি জিতেছেন। সিনেমাটি এক টয়লেট ক্লিনারের মানবিক গল্প নিয়েই এগিয়েছে। সেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে ৬৭ বছরের এই অভিনেতা বিচারকদের মন জয় করে নেন।