এক সিনেমাতেই তারকা

ক্লারা গেল। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মূলত ক্রাইম-থ্রিলারের জনপ্রিয়তাই বেশি। এর মধ্যেও উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ‘থ্রু মাই উইন্ডো’ সিনেমা সিরিজ। স্প্যানিশ সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে প্রথম মুক্তি পায় ২০২২ সালে। বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে গত দুই বছরে তৈরি হয়েছে ছবিটির আরও দুই কিস্তি। সিনেমাগুলোর সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছেন অভিনেত্রী ক্লারা গেলও।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় ‘থ্রু মাই উইন্ডো’ সিরিজের তৃতীয় সিনেমা ‘লুকিং অ্যাট ইউ’। আগেরগুলোর মতো এ সিনেমাটিও যথেষ্ট ভিউ পেয়েছে।

সিনেমার পোস্টার। আইএমডিবি

কয়েক সপ্তাহ নেটফ্লিক্সের অ–ইংরেজি ভাষার সিনেমার তালিকার সেরা তিনে ছিল। মার্সাল ফরেসের সিনেমাটিতে র‍্যাকুল চরিত্রে অভিনয় করেন ক্লারা।

আরও পড়ুন

২১ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ অভিনয়শিল্পী মূলত মডেল। এর আগে উল্লেখযোগ্য তেমন কাজ করেননি। কিন্তু কেবল ‘থ্রু মাই উইন্ডো’ সিরিজ দিয়েই পেয়েছেন বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। এ ছাড়া অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে তাঁর একটি সিরিজও মুক্তি পায় ‘দ্য বোর্ডিং স্কুল: লা চেম্বারস’।

স্পেনের পাম্পলোনায় জন্ম নেওয়া ক্লারা ১৮ বছর বয়সে অভিনয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাদ্রিদ আসেন। পড়াশোনা করেন শিল্পকলায়। এর মধ্যেই অনেকটা কাকতালীয়ভাবে সুযোগ পেয়েছেন ‘থ্রু মাই উইন্ডো’ সিনেমায়।

ক্লারা গেল। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

অভিনেত্রী জানান, তিনি আসলে অডিশনে এক বন্ধুকে সাহায্য করছিলেন; দুজন একসঙ্গে একটি দৃশ্য অনুশীলন করছিলেন। অনুশীলনে ক্লারার সাবলীলতা দেখে সেই বন্ধুটিতে তাঁকে ভিডিও পাঠানোর পরামর্শ দেন। এরপরই কাস্টিং ডিরেক্টরের কাছ থেকে ডাক পান।

চলচ্চিত্রবিষয়ক গণমাধ্যম স্ক্রিনডেইলিডটকম ক্লারাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে তাঁকে ভবিষ্যতের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘থ্রু মাই উইন্ডো’ সিনেমা সিরিজ হিট হওয়ার পর থেকে স্পেন ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সিনেমা, সিরিজে সুযোগ পেয়েছেন ক্লারা। এ প্রসঙ্গে স্ক্রিনডেইলিকে তিনি বলেন, ‘সাই-ফাই থ্রিলার, অ্যাকশন, ফ্যান্টাসি বিভিন্ন ঘরানার কাজের প্রস্তাব পাচ্ছি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে যা আমার জন্য খুবই রোমাঞ্চকর।’