পাঁচ সপ্তাহে যে সিনেমা দেখেছেন কোরিয়ার ২০ ভাগ মানুষ
গত ফেব্রুয়ারিতে বার্লিন চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রিমিয়ার হয় কোরিয়ার সিনেমা এক্সহুমার। থ্রিলার ও ভৌতিক ঘরানার সিনেমাটি উৎসবে নজর কাড়ে। এর এক সপ্তাহ পরই সিনেমাটি কোরিয়াসহ আন্তর্জাতিক বাজারে মুক্তি পায়। শুরু হয় নতুন করে আলোচনা। নির্মাণশৈলী, গল্প বলার ধরন, গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য ও প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া কীভাবে শুটিং করা হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। সিনেমাটি পাঁচ সপ্তাহ ধরে কোরিয়ার বক্স অফিসে দাপট দেখাচ্ছে।
ধারণা করা হয়েছিল, ডুন ২ মুক্তির পর কোরিয়ান সিনেমাটিকে হটিয়ে আলোচনায় থাকবে। সেখানে কোরিয়ার সিনেমা বাজারে রেকর্ড গড়ছে এই এক্সহুমা। এ বছর আয় করা সিনেমার মধ্যে এখনো শীর্ষে রয়েছে। সিনেমাটির টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ লাখের বেশি। মুক্তির প্রথম দিনেই সিনেমাটির টিকিট বিক্রি হয় তিন লাখের বেশি। দেশটির পাঁচ কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটির বেশি মানুষ সিনেমাটি দেখেছেন। কোরিয়ার সিনেমা নিয়ে নিয়মিত তথ্য দেয় কোফিক। তারা সাইটে জানিয়েছে, সিনেমাটি অলটাইম ব্লকবাস্টারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। চলতি বছরে এটিই দেশটির সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা।
কী আছে এই সিনেমায়? ভৌতিক এই সিনেমায় লাশ কবর দেওয়ার পর পূর্বপুরুষদের আত্মা ভর করে পরিবারের ওপর। অভিশপ্ত এই জীবন থেকে বাঁচতে চায় একটি পরিবার। এই রহস্য উদ্ঘাটন করতে আসে গোয়েন্দা দল। তারা পূর্বপুরুষদের অশুভ কবর খুললে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ান লোককাহিনি ও পৌরাণিকতার মিশ্রণেই তৈরি হয়েছে সিনেমাটি।
পরিচালক জে হিউন জাং এক সাক্ষাৎকার বলেন, ‘সিনেমার অনেক দৃশ্য ও দৃশ্যে ব্যবহৃত প্রপস সত্যিকারের। সিনেমার শুটিংয়ে কোনো স্টুডিও ব্যবহার করা হয়নি। অনেক দৃশ্যে সিজি ইফেক্ট মনে হলেও সেগুলো অ্যাভয়েড করা হয়েছে। ভৌতিক চরিত্রের মেকআপের জন্য ছয় ঘণ্টা করে সময় দিতে হয়েছে।’
১০ মিলিয়নের বেশি টিকিট বিক্রি হওয়া সিনেমাটি কোরিয়ায় আয় করা সিনেমার মধ্যে ৩২তম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে। শুধু কোরিয়ান সিনেমার মধ্যে এটি ২৩তম অবস্থানে রয়েছে। সিনেমার সাফল্যের পর এর পরিচালক এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘সিনেমাটি আমার জন্য অনেক কিছু শেখার সুযোগ করে দিয়েছে। আমি খুবই ভালো একটা সময় পার করছি। ভক্তদের এত ভালোবাসা পাওয়ায় কৃতজ্ঞ।’