ভাড়াটে খুনি নিক খান চরিত্রে গোলশিফতেহ

‘এক্সট্র্যাকশন টু’ দিয়ে নতুন করে আলোচনায় গোলশিফতেহ
আইএমডিবি

ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা ছবির পুরস্কার পায় তাঁর অভিনীত ‘অ্যাবাউট এলি’। আজগর ফারহাদির ছবিটি বার্লিন উৎসবেও জেতে রৌপ্য ভালুক। কে জানত, এরপর আর নিজের দেশে ফিরতে পারবেন না তিনি। বলছি গোলশিফতেহ ফারাহানির কথা। নিজের দেশ ইরান ছেড়ে এখন ফ্রান্সে থিতু হয়েছেন এই অভিনেত্রী। নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিনেমা ‘এক্সট্র্যাকশন টু’ দিয়ে নতুন করে আলোচনায় গোলশিফতেহ।

ছোটবেলা থেকেই তাঁর রক্তে অভিনয়। ইরানি অভিনেতা, নির্মাতা বেহজাদ ফারাহানি তাঁর বাবা। কিন্তু মুশকিলটা বাধায় ২০০৮ সালের মার্কিন সিনেমা ‘বডি অব লাইজ’। ছবিতে হিজাব ছাড়া অভিনয় করায় তাঁর দেশে ফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরান কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে ফ্রান্সেই থিতু হয়েছেন।

গোলশিফতেহ ফারাহানি। ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘দ্য পেশেন্স স্টোন’, ‘গার্লস অব দ্য সান’, ‘পাটেরসন’-এর মতো সিনেমায় দেখা গেছে; প্রথমটির জন্য ২০১৪ সালে সিজা অ্যাওয়ার্ডে পেয়েছেন সেরা প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেত্রীর পুরস্কার।

আরও পড়ুন

পুরো ক্যারিয়ারে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোলশিফতেহ, তবে ‘এক্সট্র্যাকশন’ ও এর সিকুয়েলে তাঁকে ভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে। পুরোপুরি বাণিজ্যিক, অ্যাকশনধর্মী ছবিতে তাঁকে দেখে চমকে গেছেন অনেকে। এমন একটি চরিত্রে তাঁকে নেওয়ার জন্য পরিচালককেও ধন্যবাদ দিয়েছেন অভিনেত্রীর ভক্তরা। ‘এক্সট্র্যাকশন’-এর দুই কিস্তিতেই ভাড়াটে খুনি নিক খান চরিত্রে অভিনয় করেছেন গোলশিফতেহ।

এ ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ও নিজের চরিত্রটি সম্পর্কে নেটফ্লিক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘নিক ছবিতে প্রধান নারী চরিত্র। তবে অন্য ছবির চেয়ে ব্যতিক্রম হলো সে কারও প্রেমিকা নয়।

গোলশিফতেহ ফারাহানি। ইনস্টাগ্রাম থেকে

এটিই চরিত্রটিকে আলাদা করে তুলেছে। নারী যোদ্ধাদের অনেক চরিত্রই তো আছে কিন্তু সেগুলোতে কোনো না কোনোভাবে নারীকে যৌনতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এখানে নিককে একটি চরিত্র, কারও বন্ধু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।’

নারীদের ছবিটি দেখার আহ্বান জানিয়ে গোলশিফতেহ বলেন, ‘এ ছবিতে অভিনয় করে আমি সত্যিই খুশি। ছোট বাচ্চারা ছাড়া অন্য নারীদের আমি এটা অবশ্যই দেখতে বলব। দেখার পর তাঁদের মনে হবে, আচ্ছা, আমরাও তো তাঁর মতো লড়তে পারি, চাইলে বেপরোয়া হতে পারি।’

গোলশিফতেহ ফারাহানি। ইনস্টাগ্রাম থেকে

দীর্ঘদিন দেশছাড়া গোলশিফতেহ। ২০১২ সালে একটি ফরাসি সাময়িকীতে নগ্ন হয়ে পোজ দেওয়ার পর ইরানে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সাক্ষাৎকারে নিজের দেশের নারীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘তাঁদের বেঁচে থাকার জন্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কেননা তাঁরা স্রোতের বিরুদ্ধে হাঁটছেন।’