রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমা ‘ডেথ অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ’

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ডেথ অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ’-এর দৃশ্যছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্রের মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের ৩২তম আসরে অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ডেথ অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ’। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদ।

গতকাল সোমবার রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসব জানিয়েছে, উৎসবের ‘শর্টস প্রোগ্রাম: লস্ট ভেঞ্চারস’ বিভাগে ছবিটি মনোনীত হয়েছে।

আগামী ২৭ জুন লন্ডনে ‘ডেথ অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ’ সিনেমার আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে। প্রদর্শনীর পর দর্শক ও বিচারকদের সঙ্গে সরাসরি একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেবেন ছবির প্রযোজক-পরিচালকসহ টিমের সদস্যেরা।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ডেথ অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ’-এর দৃশ্য
ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

‘ডেথ অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ’ চলচ্চিত্রের সহপ্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন মাহফুজ নাজিম। এ ছাড়া চলচ্চিত্রটির ক্রিয়েটিভ কনসালট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছেন চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজানা পায়েল। নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে কাজ করেছেন মঞ্জুরুল ইসলাম এবং চিত্রগ্রাহক যৌথভাবে জারিফ আহমেদ ও আসিফ উদ্দিন।

চলচ্চিত্রটির সাউন্ড ডিজাইন করেছেন শাকির অন্তু, ডলবি মিক্সিং করেছেন রিপন নাথ ও কালার করেছেন এন. এ. অনিক।

নির্মাতা ফুয়াদুজ্জামান বলেন, ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মননশীল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সিনেমার পাশে বাংলাদেশের সিনেমার নাম দেখতে পারাও দারুণ আনন্দের। রেইনড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের বিচারকদের ধন্যবাদ এবং আমার সিনেমার কলাকুশলীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদ
প্রথম আলো

রেইনড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা পাওয়া বাংলা সিনেমার জন্য অনন্য এক গৌরবের খবর বলে মনে করেন, সিনেমাটির ক্রিয়েটিভ কনসালট্যান্ট চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ।

‘ডেথ অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ’ সিনেমার পোস্টার
ছবি: নির্মাতার সৌজন্যে

মর্যাদাপূর্ণ এ চলচ্চিত্র সম্মেলনে অংশ নেবেন সারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত নির্মাতা, অভিনেতা ও কলাকুশলীরা। অস্কার কোয়ালিফায়েড এ উৎসবে অফিশিয়াল সিলেকশন পাওয়ার পর সিনেমাটির বিষয়বস্তু নিয়ে জানতে চাইলে নির্মাতা বলেন, ‘সিনেমাটিতে আমার সময়ের অস্থিরতা অনুবাদ করতে চেয়েছি। নিখাদ প্রেম কিংবা অপরাজনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরেছি।’

সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর জল–হাওয়ায় বেড়ে ওঠা ফুয়াদের মাথায় চলচ্চিত্রের স্বপ্ন পেয়ে বসে কৈশোরেই। সেই স্বপ্নের টানেই ভর্তি হন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগে। বর্তমানে তিনি উচ্চশিক্ষার্থে বসবাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে।

এর আগে ফুয়াদুজ্জামান বলেন, ‘তবে কি পলায়নই মঙ্গল?’, ‘শব্দের ভেতর ঘর’ ও ‘স্যালভেশন অব ট্রি’ নামের কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।

আরও পড়ুন