তেরে বিন: সেই পাকিস্তানি ধারাবাহিক দেখে কী বলছেন দর্শকেরা

এই ধারাবাহিকে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াহাজ আলী ও ইয়ুমুনা জায়েদিছবি: টুইটার

পাকিস্তানি টিভি ধারাবাহিক ‘তেরে বিন’ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গত বছরের ডিসেম্বরে জিও টিভিতে প্রচার শুরুর পর দর্শকমহলে সাড়া ফেলেছে ধারাবাহিকটি।
এতে মুরতাসিম ও মেরাব নামে স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ওয়াহাজ আলী ও ইয়ুমুনা জায়েদি; দুজনের দাম্পত্যজীবনের টানাপোড়েনে এগিয়ে যেতে থাকে ধারাবাহিকটির গল্প। গল্পের বাঁকবদলে একসময় দুজনের মধ্যে রসায়ন জমে ওঠে, দর্শকেরাও তা উপভোগ করছিলেন।

৪৬তম পর্ব প্রচারে আসার পর বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। সেই পর্বে দেখা যায়, কথা-কাটাকাটির জেরে মুরতাসিমকে (ওয়াহাজ আলী) চড় মারেন ও তাঁর মুখে থুতু দেন তাঁর স্ত্রী মেরাব (ইয়ুমুনা জায়েদি)। এরপর উত্তেজিত হয়ে মেরাবকে বিছানায় ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন মুরতাসিম।

যে দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক উঠেছে
ছবি: টুইটার

পরের পর্বে বৈবাহিক ধর্ষণ কিংবা নিপীড়নের ঘটনাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে ধারাবাহিকটির সমালোচনা করেন দর্শকেরা। তবে ধারাবাহিকের প্রযোজক বলছিলেন, পরের পর্ব দেখার পর বিষয়টি খোলাসা হবে।

গত বুধবার জিও টিভিতে ৪৭তম পর্ব প্রচারিত হয়; এতে ‘বৈবাহিক ধর্ষণের’ কোনো দৃশ্য রাখা হয়নি। মুরতাসিম ও মেরাবের মধ্যকার সম্পর্ককে পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক বলে তুলে ধরা হয়েছে। তবে পর্বটি দেখে অনেকে বলছেন, সমালোচনার মুখে চিত্রনাট্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আবার কেউ কেউ পর্বটি দেখে বুঝতে পারেননি, আসলে কী ঘটেছে।

এর আগে ধারাবাহিকের লেখক নুরান মাখদুম আরব নিউজকে বলেছিলেন, ‘ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই দৃশ্যটির প্রয়োজন ছিল। দর্শকেরা বিষয়টি গ্রহণ না করলেও সেটি পরিবর্তন করতে পারি না।’
সিরিজটি নির্মাণ করেছেন সিরাজ উল হক।

আরও পড়ুন