সেটা যেকোনো বাংলাদেশি ছবির ক্ষেত্রেই, শুধু আমার ছবির ক্ষেত্রে না। যেকোনো ছবি এখানে মুক্তি পেলে আমি মনে করি সবারই সেই সিনেমাটি দেখতে যাওয়া উচিত। আপনারা প্রত্যেকেই কিন্তু একটা মিডিয়া হাউস হয়ে উঠতে পারেন। তাই আমি বলব, আমার ছবিটা দেখার পর যদি আপনাদের ভালো লাগে, তবে আপনারা আপনাদের সোশ্যাল মিডিয়া, হোয়াটসআপ গ্রুপ, ফ্যামিলি গ্রুপে ছবিটি সবাইকে দেখার জন্য বলবেন।’
‘শনিবার বিকেল’ ওয়ান শট পলিটিক্যাল থ্রিলার। এটাকে সমালোচকের দৃষ্টিতে বিচার করলে এটুকুই বলব, এটি গতানুগতিক কোনো সিনেমা নয়। আবার আর্ট ফিল্মও নয়। সরল উপস্থাপন। ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার যে ট্র্যাজিক, সেই ঘটনার ছায়ায় ‘শনিবার বিকেল’–এর গল্প। সিনেমা শেষে নির্মাতার প্রতি দর্শকদের যে প্রশ্নগুলো ছিল।

সেখানে এক দর্শক তাঁর কাছে জানতে চান, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় ফারুকীর প্রধান বার্তা কী ছিল? জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আসলে আমার জন্য বলা মুশকিল। আমরা একটা ছবি বানাই, এই ছবিটাকে একেকজন একেকভাবে গ্রহণ করেন এবং এটাই আর্ট। সিনেমা আর্টের একটা ভালো নিদর্শন। একটা ছবির মধ্যে বার্তা থাকে অনেক রকম—একেকজন একেকটা গ্রহণ করে। আপনারা আমার ছবিটা দেখে সেই বার্তা পেয়ে গেছেন। মুখে আর বলতে হবে না।’

সিনেমাটির মুক্তির আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রবাসী দর্শকদের আগ্রহ লক্ষ করা গেছে। অগ্রিম টিকিটও বিক্রি হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, বিভিন্ন শপিং মল, বাঙালি কমিউনিটি, নিউইয়র্ক, জ্যামাইকা, টরন্টো শহরে দেখা গেছে ‘শনিবার বিকেল’–এর পোস্টার। প্রবাসী বাঙালিরা সিনেমাটি নিয়ে কথা বলছেন।

প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুকী বলেন, ‘“শনিবার বিকেল” আমার ও আমাদের টিমের কাছে একটা আবেগের নাম। আমাদের অন্যায়ভাবে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে আজ এইখানে!’