ফেলুদা-বোমকেশের পথ ধরে এবার কিরীটি

চিরঞ্জিত ও ইন্দ্রনীল
চিরঞ্জিত ও ইন্দ্রনীল

কে না জানে, টলিউডে এখন গোয়েন্দা কাহিনির রমরমা। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা তো সেই কবে থেকেই জনপ্রিয়। তারই পথ ধরে বোমকেশ বকশীকে নিয়ে এলেন অঞ্জন দত্ত। এসেই দর্শক-মন জয় করল বোমকেশ। এরপর এল শবর। শবরেরও ভাগ্য খুলেছে। মনে হচ্ছে, কলকাতাকেন্দ্রিক সিনেমায় এখন গোয়েন্দাদেরই রমরমা।

এবার সেই তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে কিরীটি রায়। নীহাররঞ্জন গুপ্ত সৃষ্ট এই গোয়েন্দা দীর্ঘদিন রাজত্ব করে বেরিয়েছে বইয়ের জগতে। বইয়ের নেশা আছে অথচ কিরীটি রায় না পড়ে বড় হয়েছেন, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেই কীরিটি রায় এবার আসছেন রূপালি পর্দায়।

উত্তম কুমার একবার নীহাররঞ্জন গুপ্তের কাছে কিরীটি রায়ের ওপর ভিত্তি করে সিনেমা তৈরি করার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। রাজি হননি নীহাররঞ্জন। উত্তমকে কিরীটির চরিত্রে মানাবে না বলে মনে করেছিলেন তিনি। কিরীটির বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রায় সাড়ে ছ’ ফুট লম্বা। গৌরবর্ণ। মাথা ভর্তি ব্যাক ব্রাশ করা কোঁকড়ানো চুল। চোখে পুরু লেন্সের কালো সেলুলয়েডের চশমা। নিখুঁতভাবে কামানো দাড়িগোঁফ। ঝকঝকে মুখ। আমুদে, সদানন্দ, এবং প্রখর রসবোধ। অসাধারণ বাক্চাতুর্য কিন্তু মিতবাক।’ উত্তমকে এ রকম মনে হয়নি নীহাররঞ্জনের। তাই পরিবারের সবাইকে বলে দিয়েছিলেন, যত দিন পর্যন্ত কিরীটির মতো দেখতে নায়কের দেখা না মিলবে, তত দিন পর্যন্ত যেন সিনেমাওয়ালাদের কাছে কিরীটির কপিরাইট বিক্রি করা না হয়।


তাহলে কি এবার কিরীটির দেখা মিলল?

কে হতে পারে কিরীটি?

দুটো নাম শোনা যাচ্ছে, ইন্দ্রনীল ও চিরঞ্জিত।

মোট তিনটি প্রডাকশন হাউস কিরীটি রায়ের সত্ত্ব কিনেছে। তাদের ভাবনাও তিনরকম। টলিউডের ক্যামেলিয়া প্রডাকশনস কিনে নিয়েছে নীহাররঞ্জনের গল্পগুলোর স্বত্ব। ম্যাকনিল মিডিয়া কিনেছে ‘মনিকুণ্ডল’ নামে একটি গল্প। মুম্বাইয়ের আদিভ ক্রিয়েশন কিনেছে বিষকুম্ভ’ গল্পটি।

ক্যামেলিয়া তাদের কিরীটি-অভিযান শুরু করছে ‘কালো ভ্রমর’ দিয়ে। এটিই কিরীটি সিরিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস। ইন্দ্রনীলই তাদের কিরীটি।

আদিভ ক্রিয়েশন অবশ্য কিরীটি হিসেবে চিরঞ্জিতকেই ভাবছে। পরমব্রতও কিরীটির ভূমিকায় অভিনয় করতে চায় বলে জানা গেছে। আনন্দবাজার পত্রিকা।