‘নাম কী?’
মানুষের জীবনে সর্বাধিক মুখোমুখি হওয়া প্রশ্নগুলোর একটি বোধ হয় এটি। নাম যদি হয় একটু অন্য রকম, তাহলে তো কথাই নেই। নামের অর্থ কী? কিংবা কে রেখেছে এই নাম? পরপরই এমন প্রশ্নের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়।
এবার একটা মজার গল্প বলি। অবশ্য আপনাদের জানা থাকার কথা। একবার এক মা সন্তানের নাম রাখার আবদার নিয়ে গেছেন হুমায়ূন আহমেদের কাছে। তাতে আবার নানা রকম শর্ত। নামের শুরুতে ‘আ’, শেষে ‘ল’; অর্থ হওয়া চাই নদী, আকাশ বা মেঘ গোছের কিছু। হুমায়ূন আহমেদ নাম রেখে দিলেন, ‘আড়িয়াল খাঁ’। গল্প এখানেই শেষ না, আরও আছে। যাঁরা পড়েননি, খুঁজে নিয়ে পড়বেন।
মরমি কবি হাসন রাজার নাম রাখা নিয়েও আছে দারুণ গল্প। পাঁচ ভাষায় দক্ষ এক পণ্ডিত টানা সাত দিন ঘাঁটাঘাঁটি করে রেখেছিলেন তাঁর নাম। আজকাল তো বিভিন্ন চাকরির ভাইভা বোর্ডেও নিজের নামের অর্থ বা নাম-সংশ্লিষ্ট নানা প্রশ্ন করা হয়। যাহোক, নাম মানুষের জীবনে আসলেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সুন্দর, শ্রুতিমধুর আর অর্থপূর্ণ একটি নাম বিশেষ কিছুই বটে।
আজ ৫ মার্চ, নিজের নামের অর্থ জানার দিন। ১৯৯৭ সালে জেরি হিল নামক একজনের হাত ধরে প্রচলন হয় ‘সেলিব্রেট ইয়োর নেম উইক’। এরই অংশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে ‘লার্ন হোয়াট ইয়োর নেম মিনস ডে’। আজ বাবা-মা কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিজের নামকরণের ব্যাপারে কথা বলতে পারেন। না জানলে জেনে নিতে পারেন নিজের নামের অর্থ। জানতে পারেন, কে রেখেছিলেন আপনার নামটি। খোঁজ পেলে, তাঁকে কোনো উপহার পাঠাতে পারেন। নিদেনপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিজের নামকরণের গল্পটা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।
টাইম অ্যান্ড ডেট অবলম্বনে