১.
স্ত্রীকে নিয়ে ভোলা মিয়া গাড়িতে করে শহরে যাচ্ছেন। চালক সামনের আয়নাটা একটু ঠিকঠাক করে নিচ্ছিলেন। এটা দেখে ভোলা মিয়া রেগে অগ্নিশর্মা। ড্রাইভারকে বললেন, ‘তোমার এত বড় সাহস, লুকিয়ে লুকিয়ে আয়নায় আমার স্ত্রীকে দেখছ!’
চালক বললেন, ‘স্যার, আমি তো...!’
ভোলা মিয়া তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বললেন, ‘তোমার আর গাড়ি চালাতে হবে না। এবার পেছনে এসে বসো, আমিই গাড়ি চালাব। তখন দেখব, কীভাবে আমার বউয়ের দিকে তাকাও!’
২.
চোরকে বেঁধে রেখে পুলিশের কাছে নালিশ করতে এসেছে গেরস্ত। পুলিশ বলল, ‘চোরকে তাহলে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে রেখে এসেছেন?’
গেরস্ত বলল, ‘জি, স্যার । দুই পা চেয়ারের সঙ্গে ভালো করে বেঁধে এসেছি।’
আঁতকে উঠলেন পুলিশ, ‘শুধু পা বেঁধেছেন?’
গেরস্ত বলল, ‘জি, স্যার।’
পুলিশ দিলেন ঝাড়ি, ‘বোকা নাকি আপনি! মুখ বাঁধেন নাই কেন? চোর ব্যাটা চিৎকার করলেই তো কেউ এসে বাঁধনটা খুলে দিয়ে যাবে!’
৩.
দেশের একজন ভিআইপি বিমানে চড়েছেন। ভয়ে তটস্থ বিমানের সবাই।
ভিআইপি একসময় চিৎকার করে উঠলেন, ‘উফ্! এত শব্দ আসছে কোথা থেকে? মাথা যে ধরে গেল!’
কেবিন ক্রু বললেন, ‘স্যার, আমরা এক্ষুনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
কিছুক্ষণ পর ভিআইপি বললেন, ‘শব্দ বন্ধ হয়েছে, কিন্তু প্লেনের গতি এত বেড়ে গেছে কেন?’
কেবির ক্রু হাসিমুখে বললেন, ‘স্যার, শব্দটা আসছিল ইঞ্জিন থেকে। আপনার অসুবিধা হচ্ছে বলে পাইলট কিছুক্ষণ আগে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়েছেন।’
৪.
গরু রচনা লেখার আগে শিক্ষক বেশ কিছু পয়েন্ট বললেন। সবাই বুঝতে পেরেছে কি না, বোঝার জন্য এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা, তোমার পায়ে কী?’
ছাত্র বলল, ‘স্যার, জুতা।’
শিক্ষক বললেন, ‘জুতা কী দিয়ে তৈরি হয়?’
ছাত্র বলল, ‘চামড়া দিয়ে।’
শিক্ষক বললেন, ‘চামড়া আসে কোথা থেকে?’
ছাত্র বলল, ‘গরুর শরীর থেকে।’
খুশি হয়ে উঠলেন শিক্ষক, প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা, এখন বলো দেখি কোন প্রাণী আমাদের পায়ের জুতা জোগায়, আবার নানান খাবার জিনিসও দেয়?’
ছাত্রের জবাব, ‘আমার মা–বাবা, স্যার।’
৫.
ছুটির দিন। স্কুল থেকে সবাই দলবেঁধে বেড়াতে গেছে শহরের পাশেই একটা বনে।
বনের ভেতর অনেকক্ষণ ঘোরাফেরা করেও কোনো পশুপাখির দেখা পাচ্ছিল না স্কুলপড়ুয়ারা। তাই ওরা হতাশ।
বন্ধুদের চেয়ে একটু দূরে সরে গিয়েছিল নাবিল।
ঝোপের পাশে দুটো দুধের বোতল দেখে চিৎকার করে উঠল সে, ‘দেখো দেখো! এদিকে একটা গরুর বাসা পেয়েছি!’
৬.
হাবিব সাহেব ভীষণ রেগেমেগে খেলনার দোকানে ঢুকলেন। সঙ্গে নিয়ে আসা খেলনাটা ফেরত দিয়ে বললেন, ‘আমার টাকা ফেরত দিন! আর রেখে দিন এই খেলনা!’
বিক্রেতা বললেন, ‘কেন, কী হয়েছে, স্যার? এটা তো খুব ভালো খেলনা। ভালো ব্র্যান্ড, বেশ শক্তপোক্ত, সহজে ভাঙে না...।’
হাবিব সাহেব বললেন, ‘সে কারণেই তো এলাম! এটা দিয়ে আমার ছেলে ওর অন্য সব খেলনা ভেঙে ফেলেছে!’