১.
ভোলা মিয়া তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে শহরে যাচ্ছেন। ড্রাইভার সামনের আয়নাটা একটু ঠিকঠাক করে নিচ্ছিল। এটা দেখে ভোলা মিয়া রেগে অগ্নিশর্মা।
ড্রাইভারকে বললেন, ‘তোমার এত্ত বড় সাহস, তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে আয়নায় আমার স্ত্রীকে দেখছ! তোমার আর গাড়ি চালাতে হবে না। এবার পেছনে এসে বসো, আমিই গাড়ি চালাব। তখন দেখব, কীভাবে আমার বউয়ের দিকে তাকাও!’
২.
গাবলু সাহেব তার কুকুর নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছেন। এটা দেখে তাঁর বন্ধু ডাবলু সাহেব দূর থেকে বললেন, ‘আরে, এত সকালে গাধাকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিস কোথায়?’
গাবলু সাহেব অবাক হয়ে বললেন, ‘চোখে আজকাল কম দেখছিস মনে হয়! দেখছিস না, এটা আমার কুকুর।’
ডাবলু সাহেব বললেন, ‘আরে, আমি তো তোকে বলি নাই। আমি প্রশ্ন করেছি তোর কুকুরকে।’
৩.
জোবেদা বেগম গেছেন কাপড়ের দোকানে—
জোবেদা বেগম: কিছু ভালো কাপড় দেখান তো।
বিক্রেতা: প্লেইনের মধ্যে দেখাব, ম্যাডাম?
জোবেদা বেগম: আরে, প্লেনটেনে কেন, এখানে—আপনার দোকানেই দেখান না!
৪.
মকবুল সাহেব ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন।
বাসায় আসার পর তার স্ত্রী বললেন, ‘ডাক্তার কী বলল?’
মকবুল সাহেব বললেন, ‘ডাক্তার আমাকে এক মাসের জন্য কোনো পাহাড়ি এলাকায় বেড়িয়ে আসতে বলেছেন। বলো তো, কোথায় যাওয়া যায়?’
মকবুল সাহেবের স্ত্রী বললেন, ‘কেন! অন্য চিকিৎসকের কাছে।’
৫.
বাবলু আর ডাবলু আড্ডা দিচ্ছিল। সেখানে গেল গাবলু।
ডাবলু বলল, ‘তোর রোগটা কী, বল তো।’
গাবলু বলল, ‘আরে বলিস না! ঘুম থেকে জাগার পর এক ঘণ্টা পর্যন্ত ভীষণ মাথা ঘোরে।’
বাবলু বলল, ‘তাহলে তুই ডাক্তার দেখাচ্ছিস না কেন?’
ডাবলু বলল, ‘আরে, তুই প্রতিদিন এক ঘণ্টা পরে ঘুম থেকে উঠলেই পারিস!’
৬.
চোখের সমস্যার চিকিৎসার জন্য হাবু গেছে চিকিৎসকের কাছে।
চিকিৎসক বললেন, ‘আপনার তো খুব অল্প বয়সেই চোখে ছানি পড়েছে!’
হাবু বলল, ‘বলেন কী ডাক্তার সাহেব!’
চিকিৎসক বললেন, ‘এত চিন্তার কিছু নেই। এটা বংশগতও হতে পারে।’
হাবু বলল, ‘মৃত্যুও তো বংশগত। তাই বলে কি এটা নিয়েও চিন্তা করব না?’