জামগাছের পাশে গোলাপ ফুলের চারা লাগালে যা হয়

১.

আঁকা: জুনায়েদ

খুব ভোরে ঘুম ভেঙে গেল হাবুর। জানালা দিয়ে রোদের আলো আসছে।

হাবু রুমমেটকে বলল, ‘দোস্ত, বাইরে আলো দেখা যাচ্ছে। দেখ তো সূর্য উঠেছে কি না।’

রুমমেট ঘুম ঘুম গলায় জবাব দিল, ‘আরে না, সূর্য উঠবে কী করে!’

হাবু বলল, ‘রোদ উঠে গেছে তো!’

রুমমেট বলল, ‘রোদ উঠলেই হলো নাকি! অ্যালার্ম তো এখনো বাজেনি!’

২.

বাচ্চা সাপ খুব মন খারাপ করে মায়ের কাছে গিয়ে বলল, ‘মা, আমরা কি বিষধর?’

মা বলল, ‘না, বাবা। আমরা বিষধর না।’

বাচ্চা সাপ বলল, ‘যাক, বাঁচলাম। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।’

মা বলল, ‘কেন? কী হয়েছিল?’

বাচ্চা সাপ বলল, ‘কাল একটা ইঁদুরের বাচ্চা খেতে গিয়ে নিজের ঠোঁটে নিজে কামড় খেয়েছিলাম।’

৩.

রাতে ডাব চুরি করতে গেছে হাবু আর লাবু।

হঠাৎ দারোয়ান আসছে টের পেয়ে গাছের নিচ থেকে হাবু গাছের ওপরে থাকা

লাবুকে বলল, ‘দোস্ত, জলদি! দারোয়ান আসছে! তাড়াতাড়ি লাফিয়ে পড়।’

লাবু বলল, ‘কিন্তু গাছটা প্রায় ১৩ মিটার উঁচু।’

‘ধুর গাধা!’ হাবু চাপা গলায় ধমক দিল, ‘এখন কি এসব কুসংস্কার নিয়ে মাথা ঘামানোর সময়?’

আঁকা: জুনায়েদ

৪.

জালাল মিয়ার শসাখেতে পোকার উপদ্রব। তাঁর মাথায় হাত। গেলেন কৃষি কর্মকর্তার কাছে।

গিয়ে বললেন, ‘স্যার, আমার খেতের অর্ধেক শসা পোকায় খেয়ে ফেলেছে।’

কৃষি কর্মকর্তা বললেন, ‘এক কাজ করেন, খেতে লবণ ছিটিয়ে দিন।’

জালাল মিয়া বললেন, ‘কী বলেন, স্যার! লবণ ছাড়াই এক মাসে অর্ধেক শসা খেয়ে ফেলল। লবণ দিলে তো এক সপ্তাহও লাগবে না।’

৫.

ডাবলুর ছুটি দরকার। গাইগুই করছে। শেষমেশ সাহস করে গেল বসের কাছে।

গিয়ে বলল, ‘স্যার, হাসপাতালে যাব। দাঁতের চিকিৎসা করাতে হবে।’

বস বললেন, ‘কদিন আগেই তো তুমি ২০ দিনের ছুটি কাটিয়ে ফিরলে। তখন দাঁতের চিকিৎসা করালে না কেন?’

ডাবলু বলল, ‘মাথা খারাপ, স্যার! ছুটির সময়টা দাঁতের চিকিৎসা করে নষ্ট করব!’

আঁকা: জুনায়েদ

৬.

বিলু ওদের বাড়িতে জামগাছের পাশে গোলাপ ফুলের চারা লাগাচ্ছিল।

দাদা দেখে বললেন, ‘কী দাদাভাই, জামগাছের পাশে গোলাপ ফুলের চারা লাগাচ্ছ কেন? বাগানেই বুনে দাও না!’

বিলু বলল, ‘দাদা, বাগানে বুনলে হবে না। এখানে বুনলে একটা নতুন ফল পাওয়া যাবে।’

দাদা বললেন, ‘মানে কী?’

বিলু বলল, ‘জামগাছের পাশে গোলাপগাছ হলে গোলাপজাম পাওয়া যাবে!’