সাধারণত ধারণা করা হতো, অ্যাসপিরিন (এএসএ) রক্তে মিশে মস্তিষ্কে যায়। সেখানে তার রাসায়নিক উপাদান মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে শরীরের কোনো স্থানের ব্যথা-বেদনা বন্ধ করে।
কিন্তু অ্যাসপিরিন আদতে কোনো বেদনানাশক ওষুধ নয়। দেখা গেছে, শরীরের কোনো অঙ্গ ফুলে গেলে বা কোথাও ব্যথা হলে অ্যাসপিরিন শুধু সেখানেই কাজ করে, অন্য কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এর প্রভাব নেই।
কীভাবে অ্যাসপিরিন ব্যথার স্থানটি খুঁজে পায়, তা অনেক দিন রহস্যাবৃতই ছিল। ১৯৭০ সালের দিকে গবেষণায় জানা গেছে, অ্যাসপিরিনের আসল কাজ হলো দেহকোষে প্রোস্টাগ্ল্যানডিন নামক একধরনের ফ্যাটি এসিড উৎপাদনের গতি কমিয়ে দেওয়া।
হরমোনজাতীয় এই প্রোস্টাগ্ল্যানডিন শরীরের একধরনের সতর্কসংকেত-ব্যবস্থা। শরীরের কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে ওখানে ব্যথা, জ্বালা-যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। অনেক সময় জ্বর হয়।
অ্যাসপিরিন শুধু সমস্যাপীড়িত দেহকোষগুলোকে চিহ্নিত করে এবং সেখানে গিয়ে প্রোস্টাগ্ল্যানডিন তৈরি স্তিমিত করে। এতে ব্যথার অনুভূতি নষ্ট হয়, ফোলা কমে, জ্বর সাময়িকভাবে থামে, কিন্তু রোগের কারণ দূর হয় না।