অনেক সময় ফাঁকি দেয়, তবে জেনেশুনেই দেয়। উদ্দেশ্য মহৎ। যেন আপনি সহজে একটা সমাধানে পৌঁছাতে পারেন। যেমন, আপনি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছেন। একজন বুদ্ধিমত্তার প্রতিযোগিতা শুরু করল। প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে চটপট।
বন্ধু প্রশ্ন করল, ‘আচ্ছা বল তো, একটা বই ও একটা কলমের দাম ২১২ টাকা। বইয়ের দাম কলমের দামের চেয়ে ২০০ টাকা বেশি। কোনটার দাম কত?’
আপনার মস্তিষ্ক একমুহূর্ত সময় নষ্ট করতে রাজি নয়, কারণ সবার আগে বলতে না পারলে তো মান থাকে না। তাই চট করে মস্তিষ্ক আপনার মুখে উত্তরটা এগিয়ে দিল, ‘বইয়ের দাম ২০০ টাকা ও কলমের দাম ১২ টাকা!’
খুব সোজা, তাই না? কিন্তু আপনার উত্তরটা এক অর্থে ভুল।
কলমের দাম ছয় টাকা ও বইয়ের দাম ২০৬ টাকা, দুয়ে মিলে ২১২ টাকা। মিলিয়ে দেখুন হিসাবটা। মস্তিষ্ক কিন্তু বুঝেশুনেই আপনার মঙ্গলের জন্য আপনাকে ফাঁকি দিয়েছে।
কারণ, সহজে কেউ এই ভুলটা ধরতে পারবে না, আর আপনিও ফার্স্ট হয়ে যাবেন। যদি পরীক্ষার হলে গণিতের প্রশ্ন হতো, তাহলে মস্তিষ্ক হয়তো ভেবেচিন্তে, সময় নিয়ে আপনাকে সঠিক উত্তরটা বলে দিত।