বেশি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার অভ্যাস

আঁকা: জুনায়েদ আজিম চৌধুরী

বেশি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখার অভ্যাস

ভোরে ঘুম থেকে উঠতে বাবুর ভীষণ আলসেমি। তাই দাদা সেদিন অনেক কথা শোনালেন বাবুকে, ‘বাবু ভাই, শোনো, সাফল্যের জন্য তোমার স্বপ্নকে অনুসরণ করতে হবে।’

বাবু বলল, ‘দাদা, এই কারণেই তো আমি একটু বেশি ঘুমিয়ে লম্বা সময় নিয়ে স্বপ্ন দেখার অভ্যাস করছি।’

আরও চাস কেন

হাবু বরই খাচ্ছিল। লাবু এসে বলল, ‘দোস্ত, কী খাস?’

হাবু বলল, ‘চোখের মাথা খেয়েছিস? দেখতে পাচ্ছিস না, বরই খাচ্ছি।’

লাবু খোঁচা হজম করে বলল, ‘একটা দে না, টেস্ট করে দেখি।’

হাবু একটা বরই দিল। লাবু খেয়ে বলল, ‘ভালো বরই। আরেকটা দে না।’

লাবু বলল, ‘টেস্ট করেছিস, ভালোও বললি, আরও চাস কেন?’

বেশ লাভজনকও

রাতে বাসায় চুরি হয়েছে। বিকেলে বাজারে গেছেন হালিম মিয়া। বাজারে গিয়ে দেখেন, তার সাধের রেডিওটা পুরোনো জিনিসের দোকানে বিক্রির জন্য উঠেছে। দোকানিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এই রেডিও আমার। কে চুরি করেছে?’

দোকানি বলল, ‘চুরি তো স্যার কেউ না কেউ করছেই। তবে ব্যাটা অসৎ।’

পাশ থেকে হালিম মিয়ার বন্ধু বললেন, ‘হ্যাঁ, চুরি করা জিনিস বাজারে বিক্রি করা শুধু অসৎ কাজই না, বেশ লাভজনকও বটে।’

দ্বি–দ্বি–দ্বিধাগ্রস্ত

দুই দ্বিধাগ্রস্ত লোক এক টেবিলে খেতে বসেছে। কী খাবে ঠিক করতে পারছে না।

প্রথম লোক বলল, ‘কী যে খাই! মাছ নাকি মাংস? ডাল নাকি সবজি?’

দ্বিতীয় লোক বলল, ‘আপনিও দেখি আমার মতো দ্বিধায় ভুগছেন! আমি দিনের ১৭ ঘণ্টাই দ্বিধায় ভুগি!’

প্রথম লোক বলল, ‘আমিও আপনার মতো দিনের ১৭ ঘণ্টা দ্বিধায় ভুগি। বাকি ৫ ঘণ্টা, না ৬ ঘণ্টা, না না ৭ ঘণ্টা স্থির থাকি!’

আরও পড়ুন