অ্যাসাঞ্জের জন্য বিশেষ কোনো সুবিধা নয়

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: রয়টার্স
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: রয়টার্স

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ তাঁর জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়া থেকে ‘বিশেষ কোনো সুবিধা’ পাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক নাটকীয় গ্রেপ্তারের পর আজ শুক্রবার অ্যাসাঞ্জ সম্পর্কে তিনি এই মন্তব্য করেন।

যৌন নিপীড়নের মামলা এড়াতে ৪৭ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সুইডেন ছেড়েছিলেন। দীর্ঘ সাত বছর ধরে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন তিনি। গতকাল এই দূতাবাসের মধ্যে ঢুকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে অপেক্ষারত ভ্যানে তোলে পুলিশ। ২০১২ সালে আরোপিত জামিনের শর্ত ভঙ্গ করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ আদালতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

২০১০ সালে মার্কিন সাবেক গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিং সত্যিই ভিডিও ও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করতে অ্যাসাঞ্জকে সহায়তা করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখবে কর্তৃপক্ষ। এই মামলার শুনানি হবে আগামী ২ মে।

আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণার আর যখন প্রায় ২৪ ঘণ্টা বাকি, তখন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন জানান, আর দশজন সাধারণ অস্ট্রেলীয় নাগরিকের মতোই সমান সুযোগ-সুবিধা পাবেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে জাতীয় গণমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মরিসন বলেন, ‘এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপার, এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। একটি বিচারিক পদ্ধতিতে অ্যাসাঞ্জের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সে পদ্ধতির প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’

মরিসনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিল শর্টেন নিজেও এই মামলা থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখছেন। আসন্ন ১৮ মের নির্বাচনে অস্ট্রেলিয়ার সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফেবারিটের তালিকায় আছেন বিল। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আইনি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হবে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে। তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য সাধারণ নাগরিকের মতো সহায়তা দেওয়া যেতে পারে। আদালতে বিচারাধীন এ মামলার ব্যাপারে আমি আর কিছু বলতে চাই না।’

২০১০ সালে আড়াই লাখ মার্কিন কূটনৈতিক নথি ও পাঁচ লাখ সামরিক গোপন নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিল উইকিলিকস। এর কিছুদিন পর সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। এরপর গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের একটি আদালত অ্যাসাঞ্জের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের সিদ্ধান্তও নেন। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর পাঁচ বছরের সাজা হতে পারে বলে বিচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।