সিরিয়া থেকে ইরাকে নেওয়া হচ্ছে মার্কিন সেনাদের

সিরিয়া ছেড়ে ইরাক যাচ্ছেন মার্কিন সেনারা। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
সিরিয়া ছেড়ে ইরাক যাচ্ছেন মার্কিন সেনারা। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

উত্তর সিরিয়া থেকে প্রত্যাহার করা মার্কিন সেনাদের পশ্চিম ইরাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান বন্ধে সহায়তা করতে প্রায় এক হাজার সেনাকে পুনরায় মোতায়েন করা হবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

কুর্দি নেতৃত্বাধীন একটি বাহিনী বলছে, তারা সিরিয়ার অবরুদ্ধ শহর রাস আল-আইন থেকে যোদ্ধাদের সরিয়ে নিয়েছে।

বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, গতকাল রোববারের এ ঘটনা মার্কিন হস্তক্ষেপে তুর্কি ও কুর্দি যোদ্ধাদের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে সেনা প্রত্যাহারের সূচনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর তুরস্কের সামরিক বাহিনী সিরিয়ায় হামলা চালায়।

যুদ্ধে ইতিমধ্যে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) এবং তুর্কিপন্থী দলগুলোর অসংখ্য যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের ফলে এই অঞ্চলের বেশির ভাগ অংশ সিরিয়া সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। ২০১৫ সাল থেকে এসডিএফ এ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০১৪ সাল থেকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীর মূল সহযোগী ছিল এসডিএফ।

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুসারে, এসডিএফ তাল আবায়দ থেকে রাস আল-আইন পর্যন্ত প্রায় ১২০ কিলোমিটার এলাকা থেকে সরে যেতে রাজি হয়েছে। যদিও তুর্কি বাহিনী কুর্দি মিলিশিয়াদের সাফ করে বড় একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরির পরিকল্পনা করছে। এখানে সিরিয়ার শরণার্থীদেরও জায়গা দেওয়া হবে। কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী এ হামলা প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে।

এর আগে এসডিএফ তুরস্কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল, দেশটির যোদ্ধা ও আহত বেসামরিক নাগরিকদের রাস আল-আইন ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। রোববার তুরস্ক জানিয়েছে, সিরিয়ার তাল আবয়াদ শহরের কাছে কুর্দিদের হামলায় এক সেনা নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছে।

মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্রেটিক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং মার্কিন আইনবিদদের একটি দ্বিপক্ষীয় দল বাদশাহ আবদুল্লাহর সঙ্গে আলোচনার জন্য জর্ডান পৌঁছেছে। মার্কিন প্রবীণ রাজনীতিবিদদের সঙ্গে পেলোসিও উত্তর সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘তুরস্কের আগ্রাসনের পর সিরিয়ায় ক্রমবর্ধমান সংকট নিয়ে আমাদের প্রতিনিধিদল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, শরণার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, এ ব্যাপারে ইরান, রাশিয়া ও আইএসের ভূমিকা নিয়ে আলোচনায় বসেছে।’