হেঁটে ওজন কমান

নিয়মিত হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। ছবি: অধুনা
নিয়মিত হাঁটলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। ছবি: অধুনা

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর স্বাভাবিক ব্যায়ামের অভাবে ওজন বাড়ছে খুব দ্রুত। চাইলেও নিয়ম মেনে ওজন কমানোর জন্য কাজগুলো করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া দীর্ঘদিন একই ধরনের ব্যায়ামে চলে আসে বিরক্তি। বিখ্যাত হেলথ ম্যাগাজিন এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিয়েছে স্টেপ ডায়েটের টিপস, যেখানে হেঁটে আপনি কমিয়ে ফেলতে পারবেন বাড়তি ওজন।

অনেকে অভিযোগ করেন ব্যায়াম তো করছেন। সঙ্গে খাবারেও এনেছেন পরিবর্তন, তবে সেটা কত দিন চলবে বা কীভাবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না। সে ক্ষেত্রে স্টেপ ডায়েটে আপনাকে নিতে হবে ১২ সপ্তাহ বা ৩ মাসের প্রকল্প।

শুরুতে প্রতিদিন দুই হাজার ধাপ হাঁটতে হবে, যাতে সময় লাগবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। খুব জোরে হাঁটা নয়, আবার খুব আস্তেও নয়। হাঁটতে হবে স্বাভাবিক গতিতে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই প্রকল্পের ডায়েট। এটা-সেটা বেছে খেতে হবে না। বরং প্রতিদিন আপনি যা খাচ্ছেন বা যে খাবারটা স্বাভাবিক তার থেকে মাত্র ২৫ শতাংশ কম খেলেই হবে। ফল, পানি, চিনি ছাড়া কফি, ডেইরি খাবার, দুধ সব খেতে পারবেন অনেকটা ইচ্ছামতো। তবে ২৫ শতাংশ যেহেতু কমাতে হবে স্বাভাবিকভাবেই ছাড়তে হবে অতিরিক্ত তেল, চর্বি, ভাজা-পোড়ার অংশটি। সেই সঙ্গে সব ধরনের ডায়েটের অন্যতম অংশ প্রচুর পানি পানের ব্যাপারটি তো থাকছেই।

স্টেপ ডায়েটে আপনাকে লিখে রাখতে হবে রোজকার কথা। মানে, কবে কী খেলেন, কখন খেলেন, কতটা খেলেন সবকিছু। এক সপ্তাহ পর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের খাবার বেশি খাওয়া হচ্ছে। কোনটা খাওয়া বাদ দিতে হবে বা বাড়িয়ে দিতে হবে কোন খাবারটা।

হাঁটাকে যেহেতু সব ধরনের ব্যায়ামের পরিপূরক বলা হয়, তাই হাঁটা অন্য যেকোনো ব্যায়ামের থেকে বেশি উপকারী। প্রথম সপ্তাহে দুই হাজার ধাপ হাঁটায় আপনার ওজন কমে যাবে দুই থেকে আড়াই কেজি, যা কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রমাণ করেছে। ন্যাশনাল ওট কন্ট্রোল রেজিস্ট্রি (এনডব্লুসিআর), একটি বিশাল গবেষণা প্রকল্প হাতে নিয়ে দেখেছে, যারা এই ডায়েট অনুসরণ করেছে, তাদের ৬৫ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমেছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়াতে হবে ধাপের পরিমাণ। ১২ সপ্তাহ শেষে আপনি অনায়াসে ১১ হাজার থেকে ১৩ হাজার ধাপ হাঁটতে পারবেন। আর তার ফলে ওজন কমবে আশানুরূপ।

যেহেতু রোজকার খাদ্যাভ্যাস থেকে কমে যাচ্ছে ২৫ শতাংশ, তাই ক্যালরিও নেওয়া হচ্ছে কম। সে ক্ষেত্রে ওজন কমবে বৈজ্ঞানিক নিয়মেই, খুব সহজে।