ওজন কমানোর আরেক পদ্ধতি

না খেয়ে থেকে, অল্প খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন। একটু কমে যাওয়ার পরে হয়তো হাল ছেড়ে দিয়েছেন। আবার বেড়ে গেছে ওজন। এবার ওজনের বাড়ার প্রক্রিয়ায় রাশ টেনে ধরতে করতে পারেন ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। এটি হলো একটা নির্দিষ্ট সময় না খেয়ে থাকার পর আবার কিছু খাবার খেয়ে ওজন কমানোর পদ্ধতি। ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই পদ্ধতিতে খুব দ্রুত কিছু ওজন কমানো সম্ভব হয় ঠিকই। এই ডায়েট করার আগে কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে কি না, কী কী ওষুধ খেয়ে থাকেন, কাজের ধরন-সময়, পরিশ্রমের মাত্রা ইত্যাদি জেনে নেবেন।

যাঁদের জন্য এই পদ্ধতি করা যাবে না তা হলো: কম ওজনের ব্যক্তি, ১৮ বছরের নিচের কিশোরেরা, গর্ভাবস্থায়, প্রসূতি মা ইত্যাদি অবস্থায়।

ছয় ধরনের পদ্ধতিতে এটা করা হয়।

প্রথম: প্রতিদিন ১৪-১৬ ঘণ্টা না খেয়ে ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে দুবারের বেশি খেতে হয়।

দ্বিতীয়: সপ্তাহে ৫ দিন স্বাভাবিক খাবার খেয়ে বাকি ২ দিন খুব কম (< ৫০০ ক্যালরি) খেয়ে থাকা।

তৃতীয়: এক দিন না খেয়ে থেকে পরের দিন খাবার খেতে হয়।

এভাবে আরও অনেক কয়েকটি পদ্ধতিতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করা হয়।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে শারীরিক যে যে সমস্যা হতে পারে:

*  ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা।

*  হঠাৎ করে ক্ষুধা লাগা।

*  দুর্বলতা, ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে থাকা।

*  চুল পড়া, স্বাভাবিক অবস্থায় ও ঠান্ডা লাগে।

*  অনিয়মিত পিরিয়ড।

*  ডায়াবেটিস রোগীদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়

*  মাথাব্যথা, লো-এনার্জি হয়ে বিভিন্ন ধরনের ইনজুরির ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

*  হার্ট বার্ন, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঝাপসা লাগা, দ্বিধা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

*  শরীরে কর্টিসল হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে মানসিক চাপ ও খাবারে আসক্তি বেড়ে যায়।

এ ছাড়া ও অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয়।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অথবা অন্য যেকোনো অসামঞ্জস্য ও অসম পুষ্টির ডায়েট চার্ট একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা তৈরি করে, অন্যদিকে খুব দ্রুত ও বেশি ওজন বাড়াতে থাকে। মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য কোনো জাদু নেই।

* প্রয়োজন স্বাভাবিক ও সুষম খাবার

* কম ক্যালরিযুক্ত খাবার

* বাড়তি ওজন কমাতে ও শরীরের মেটাবলিক হার বাড়াতে ব্যায়াম করতে হবে।

* ওজন কমানো যতটা জরুরি তার থেকে জরুরি হলো, তা দীর্ঘ দিন ধরে রাখা।

লেখক: পুষ্টিবিদ