থিম অনুযায়ী টেবিল সাজালে সবচেয়ে ভালো। এ ক্ষেত্রে রং ও সাজানোর বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া জরুরি। আর সময়টা যেহেতু গরমকাল, তাই আবহাওয়ার বিষয়টিও চিন্তা করতে হবে। এমনভাবে টেবিল সাজান, যেন খুব রংচঙে না মনে হয় এবং চোখও আরাম পায়, জানালেন এস কে ডেকোরের সিইও ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার সাইমুল করিম।
বিভিন্নভাবে টেবিল সাজানো যায়। টেবিলের মাঝখানে একটা রানার দিয়ে দিলেন। আবার একটি বড় কভার দিয়েও টেবিল সাজানো যায়। তবে অবশ্যই কিছু ফুল রাখবেন। সব সময় যে দামি ফুল হতে হবে, তা নয়। হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, তা-ই দিয়ে সাজাতে পারেন। রাতে মোমবাতি অবশ্যই রাখবেন। দিনের বেলায়ও টেবিলের এক কোণে কয়েকটি মোমবাতি জ্বালিয়ে দিতে পারেন। এতে মাছি দূর হবে।
জিনিসপত্রের আধিক্য যেন বিরক্তির কারণ না হয়। সম্ভব হলে মূল টেবিলের পাশে একটা পাশ টেবিল রাখুন, জানালেন সাইমুল করিম। এটাকে মিষ্টান্ন, চটপটি বা চায়ের টেবিল হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। সবাই হয়তো এসব খাবার সব সময় খেতে পছন্দ করেন না। তাই যাঁর যখন ইচ্ছে, পাশ টেবিল থেকে নিয়ে খেতে পারবেন। এতে মূল টেবিলে জিনিসপত্রের গাদাগাদি হবে না। আপ্যায়নে সুবিধা হবে।
ঈদের সকালের টেবিল
সকালে টেবিলের রানার বা তৈজসপত্রের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্নিগ্ধতা আনুন। সাদা, আকাশি, ফ্রুটি, হালকা হলুদ, গোলাপি ইত্যাদি রং ব্যবহার করতে পারেন। সব ধরনের প্যাস্টেল শেড এই বেলায় ভালো লাগবে। সঙ্গে হয়তো ফুলদানিতে রইল সাদা একগুচ্ছ লিলি বা অপরাজিতা। পাশে মোমবাতি। টেবিলজুড়ে রইল সাদা, চাপা সাদার সঙ্গে নীল বা আকাশি বা গোলাপির ব্যবহার; অর্থাৎ কনট্রাস্ট করে রং ব্যবহার করলে টেবিলে বৈচিত্র্য আসবে।
ঈদের দুপুরের টেবিল
সকালবেলা রানার ব্যবহার করলে দুপুরে টেবিল কভার ব্যবহার করুন। এ বেলাতেও টেবিল সাজাতে এমন রং ব্যবহার করুন, যাতে স্নিগ্ধ ভাব বজায় থাকে। চাপা সাদার সঙ্গে হয়তো বেগুনি, সবুজ, সোনালি বা রুপালি রঙের বিপরীত শেড আনতে পারেন। প্যাস্টেল শেড এ সময়ও ভালো লাগবে। তৈজসপত্রের ক্ষেত্রে হয়তো একটা সোনালি আভা ফুটিয়ে তুললেন। খাবারগুলো পরিবেশনপাত্রে পরিবেশন করুন। এতে বৈচিত্র্য আসবে। খাবারও দীর্ঘ সময় গরম থাকবে।
ঈদের রাতের টেবিল
এ সময় টেবিল সাজাতে গাঢ় রং বেছে নিতে পারেন। সবুজ, বেগুনি, সোনালি, বাদামি সোনালি, কালো সোনালি ইত্যাদির সমন্বয় ভালো লাগবে। দুপুরে টেবিলে কভার দিলে এ বেলায় আবার রানার ব্যবহার করুন। রাতের টেবিলে মোমবাতি জ্বালানোর কথা ভুলবেন না যেন।
যা জরুরি
তিন বেলাই খাবারের বাটি বা পরিবেশন পাত্রের পাশাপাশি ফুল প্লেট, হাফ প্লেট, টেবিল চামচ, চা-চামচ, কাঁটা চামচ, ছুরি ও ন্যাপকিন রাখতে হবে। দুই ধরনের গ্লাস অবশ্যই রাখুন। এতে আলাদা করে পানি ও শরবত বা জুস রাখতে সুবিধা হবে।