টেকনিশিয়ান না থাকায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে যন্ত্রটি চালু করা যাচ্ছে না। আট বছর ধরে তালাবদ্ধ ঘরে পড়ে আছে এটি। ফলে হাসপাতালে আসা রোগীদের এক্স-রের জন্য ছুটতে হয় বেসরকারি রোগ নির্ণয়কেন্দ্রে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসে এই হাসপাতালে এক্স-রে যন্ত্র বসানো হয়। এর পর থেকে একটি দিনের জন্যও চালু হয়নি এটি। আট বছর ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে টেকনিশিয়ান নিয়োগের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহফুজুল হক বলেন, ‘যন্ত্রটি এখন কী অবস্থায় আছে আমরা জানি না। কারণ এটি বসানোর পর চালু করা হয়নি। টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিলে বোঝা যাবে এটি আদৌ আর চালু করা যাবে কি না।’
স্থানীয় কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটার বাসিন্দা নুরুল আলম ও লোকমান হাকিম বলেন, হাসপাতালে এক্স-রে যন্ত্র বসানো হলেও তা রোগীদের কোনো কাজে আসছে না। বেসরকারি প্যাথলজিতে এক্স-রে করাতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে গরিব রোগীরা।
মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুচিন্ত চৌধুরী বলেন, এক্স-রে যন্ত্রটি চালু করতে ইতিমধ্যে টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনেকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লেখা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এটি চালু থাকলে হাসপাতালে আসা গরিব রোগীরা কম মূল্যে সেবা পেত।