সম্পর্কচ্ছেদের পর প্রথম যে কষ্টকর অনুভূতির মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়, তা হলো—একাকিত্ব। সে সময় আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াল একাকিত্বকে জয় করা, মানসিক অবসাদ কাটিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করা। একাকী ভ্রমণের অনেক ভিডিও দেখেছি, গল্প শুনেছি কিন্তু সাহস হতে হতেও হচ্ছিল না। একা ঘুরতে গিয়ে যদি আরও বেশি খারাপ লাগে, আরও অবসাদগ্রস্ত হয়ে যাই? যদি কান্না পায়?
এসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতেই ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম একদিন।
আমরা সাধারণত পরিবারের কিংবা বন্ধু–বান্ধবের সঙ্গেই ঘুরতে যাই। কিন্তু পৃথিবীর বেশির ভাগ পর্যটক আসলে একা ট্রাভেল করে দুনিয়া দেখে, নানান বিচিত্র ও বৈচিত্র্যময় স্থান, সংস্কৃতি, মানুষের জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা নেয় ব্যাকপ্যাকিং ট্রাভেলের মাধ্যমে।
একা ভ্রমণের বেশ কিছু কায়দাকানুন আছে, নানান গ্রুপ, কমিউনিটি, হোস্টেল আছে। এর মাধ্যমে অপরিচিত পর্যটক সহজেই হয়ে ওঠে বন্ধু, স্বজন। জানা যায় নানান দেশের নানা মানুষের নানা অভিজ্ঞতার কথা। আমার একাকী ব্যাকপ্যাক ট্রাভেলের অভিজ্ঞতায় শোনাব সেসব অভিজ্ঞতার কথা।
গন্তব্য পেনাং
ঢাকা থেকে চেপে বসলাম উড়োজাহাজে, গন্তব্য পেনাং। মালয়েশিয়া ইংরেজদের উপনিবেশ ছিল একসময়, এখন ট্যুরিস্ট প্লেস বলা যায়। হোস্টেল ওয়ার্ল্ড (www.hostelworld.com) থেকে বুকিং দিয়েছি এক হোস্টেলে। কুয়ালালামপুর থেকে বাসে চেপে সকালে এসে পৌঁছালাম। এক কক্ষে ছয়জন, জীবনে অপরিচিত কারও সঙ্গে থাকিনি। সবাই তখন ঘুমাচ্ছে। শুরুতে কেমন যেন এক অনুভূতি গ্রাস করল আমাকে। যদি ওরা বন্ধু হিসেবে না নেয়, ঠিকমতো কথা না বলে? যদি সাম্প্রদায়িক আচরণ করে? একাকিত্বকে জয় করতে এসে আরও বেশি একা হয়ে যাব না তো?
নানা কিছু ভাবতে ভাবতে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাশতা করে আমার বাঙ্ক বেডে ঢুকে পড়লাম, দিলাম একটা ঘুম। ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় এসে বসলাম, ততক্ষণে হোস্টেল সরব হয়ে উঠেছে। প্রায় সবাই রুম ছেড়ে বারান্দায়, আড্ডায় মত্ত।
আমার অস্ট্রেলীয় রুমমেট হঠাৎ জিজ্ঞেস করল, আজ তোমার কী পরিকল্পনা? হড়বড় করে নিজের পরিকল্পনা বলা শুরু করল। ও জানাল, সে দিনটায় সে মার্কেটে যাবে, তাই সঙ্গী খুঁজছে। আমি আসলে মার্কেটে যাব কি যাব না, তা ভাবতে ভাবতেই আলাপ এগিয়ে চলল। জানলাম, গত তিন সপ্তাহ ধরে সে পেনাংয়ে। এটা ওর শেষ সপ্তাহ, এরপর যাবে ভিয়েতনাম। আমি বললাম, এত দিন এখানে ভালো লাগছে? ওর কথা, একটা জায়গায় এক মাস না থাকলে নাকি সেই জায়গার আপন হওয়া যায় না, তার সংস্কৃতি, ভাষা, ইতিহাস, জীবনচিত্র কিছুই বোঝা যায় না।
হোস্টেলে যেহেতু পাঁচ কি ছয়জন এক কক্ষে, খরচও কম। তাই একেক জায়গায় এক মাস পড়ে থাকে। ভ্রমণযাত্রা হয় ছয় মাসের।
পাশের কক্ষের লম্বাকেশি জ্যামাইকান তরুণ বব মার্লের গান জুড়ে দিয়েছে তখন। কেউ কেউ গানে যোগ দিল আর কেউ কেউ কার্ড খেলায়। আমি ক্রমেই উপভোগ করতে লাগলাম। সবার সঙ্গে পরিচয় হলো, বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে অনেকেই অবাক হলো। সাধারণ বাংলাদেশি একাকী ভ্রমণকারী নাকি দেখা যায় না।
আড্ডা শেষে বের হলাম আশপাশটা ঘুরে দেখব বলে। হোস্টেলেই বাইক ভাড়া করা যায়, বাইক ভাড়া নিচ্ছি, এমন সময় পেছন থেকে একজন জিজ্ঞেস করল, তুমি কি মন্দির দেখতে যাবে? ঘুরে তাকাতেই দেখি এক ফ্রেঞ্চ তরুণী। বলল, আমরা শেয়ারে বাইক ভাড়া নিতে পারি, যাওয়ার সময় আমি চালাব, আসার সময় তুমি। আমার কি রাজি না হয়ে উপায় আছে!
বন্ধু স্বজনহীন এই যাত্রায় কে যে কখন বন্ধু হয়ে ওঠে বলা কঠিন। সন্ধ্যায় হোস্টেলে এক মজার আড্ডা হয়। হইহুল্লোড়, আড্ডাবাজ, কে কোথায় ঘুরল, কী অভিজ্ঞতা—সব আড্ডার বিষয়। দেখা যায়, এক আড্ডায় দশ দেশের দশ রকমের মানুষ বসেছে। একই টপিকে দশ রকম মানুষের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে অদ্ভুত সব তথ্য জানা যায়। একই শব্দের একেক দেশে একেক অর্থ দাঁড়ায়। বিভিন্ন পেশার পর্যটক জড়ো হয় আড্ডায়। তাদের বেশির ভাগই লম্বা সময়ের জন্য ভ্রমণে বের হয়েছে। এই লম্বা ভ্রমণ শেষে যোগ দেবে নিজ নিজ কাজে। কেউবা আজীবনের জন্য যাযাবর জীবন বেছে নিয়েছে। এরা হিপ্পি ধরনের, এক দেশে যায় দুই কি তিন মাস থাকে। দিন আনি দিন খাই গোছের কাজ করে। এই কাজের মধ্যে থাকে হোটেলে সার্ভিসিংয়ের কাজ, ভাষা শেখানো, কেউবা ছবি তুলে অনলাইনে বিক্রি করে, এক মাসের ঘোরার টাকা উপার্জন করে নতুন কোনো দেশে পাড়ি জমায়।
আমার বেশ মজা লাগতে থাকে, একাকী এসেছিলাম, জুটে যায় অনেক বন্ধু। রাত ১১টার পর হোস্টেলে শব্দ করা নিষেধ, কেউ ঘুমিয়ে পড়ে কেউবা দলবেঁধে চলে যায় রাত্রিভ্রমণে। কেউবা হোস্টেলে ফিরে এসে নিজের কক্ষে ঢুকে রুমমেটদের বিরক্ত না করে চুপচাপ নিজের বিছানায় শুয়ে পড়ে। কেউ হয়তো ফেরে না, অ্যাডভেঞ্চার ট্রিপে কোথাও না কোথাও গন্তব্যহীন রাত্রিযাপন হয়ে যায়।
কোহ ফাঙ্গানে পূর্ণিমা রাতে
পেনাংয়ের সলো ব্যাক–প্যাকিংয়ের অভিজ্ঞতা আমাকে বেশ আলোড়িত করল। দেশে ফিরে খুব অপেক্ষা করতে থাকি কবে আবার বের হব। শুটিং, এডিটিং, নাটক, বিজ্ঞাপন, সিনেমা, অনএয়ার—এগুলোর ফাঁকে ফাঁকে খুঁজতে থাকি নতুন গন্তব্য।
লোনলি প্ল্যানেট (www.lonleyplanet.com) ওয়েবসাইটটি বেশ মজার। তারা একাকী ভ্রমণকারীদের গন্তব্য নিয়ে ফিচার প্রকাশ করে থাকে। আবার ফেসবুকে একটি গ্রুপ আছে ‘সলো ট্রাভেলার’ নামে, সেখানে সবাই নিজেদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, ছবি পোস্ট করে থাকে। এগুলো দেখি আর দিন গুনি আবার কবে যাব।
এর মধ্যে সময় বের করে ফেলি থাইল্যান্ডের কোহ ফাঙ্গানের পূর্ণিমা রাতের আয়োজনে যাওয়ার। হোস্টেলওয়ার্ল্ড ডটকমের মাধ্যমে প্রথমে বুকিং দিই ব্যাংককের বিখ্যাত ম্যাড মাংকি হোস্টেলে। এরপর সেখান থেকে গন্তব্য ফাঙ্গান। ম্যাড মাংকি মূলত চেইন হোস্টেল। সাউথ এশিয়ার অনেক জায়গাতেই আছে, বেশ ভিড় থাকে, ভালো মনের পর্যটকেরা এলে এখানে আসে। ম্যাড মাংকিয়ে উঠে প্রথম দিনেই বন্ধু হয়ে যায় অনেকে। পরদিন এখান থেকে চলে যাই ফাঙ্গান। এখানে চমৎকার একটি হোস্টেল আছে, ফাঙ্গান এরেনা নামে। এটি মূলত পার্টি হোস্টেল, সন্ধ্যায় শুরু হয়ে ধুমধাড়াক্কা পার্টি চলে সারা রাত। বেশির ভাগ কক্ষ সাত থেকে আটজনের, আমি ছিলাম ১৩ জনের কক্ষে। এরই মধ্যে একজন অসুস্থ্ হয়ে পড়ে, অনেকেই তাঁর সেবা করতে লেগে যান।
তখন মনে হলো, একা ভ্রমণ করতে এলেও বিপদে সবাই এগিয়ে আসেন। কোহ ফাঙ্গান জঙ্গলে পার্টি, ফুল মুন পার্টি বিখ্যাত।
এখানে পর্যটকেরা আসেন মূলত এই দুই পার্টিকে উপলক্ষ করে। তবে এখান থেকে নৌকায় করে দ্বীপগুলো ঘুরে দেখাও চমৎকার অভিজ্ঞতা। ফাঙ্গান এরেনা হোস্টেলে কমপক্ষে পাঁচ রাতের বুকিং দিতে হয়। ৫, ৬, ১০ জনের রুমে গড়ে ১০ থেকে ১২ ডলারের মতো পড়ে প্রতি রাতে। অনেকে দেখলাম দুই থেকে তিন সপ্তাহ আছে।
দেশে দেশে টুকরো অভিজ্ঞতা
এমনই এক ভ্রমণে স্কটল্যান্ডের একজনকে দেখেছিলাম তিন মাস ধরে আছেন। অদ্ভুত যাযাবর জীবন—ওই হোস্টেলের রান্নাঘরেই রান্না করে খাওয়া যায়। ফ্রিজে নিজের বাজারের নাম লিখে রাখা যায়। ভারতে একটি হোস্টেল চেইন আছে, নাম জোস্টেল, কয়েক বন্ধু মিলে করেছে। দারুণ সেবার মান। এক কক্ষে সর্বোচ্চ ছয়জন, পরিষ্কার বিছানা, বাথরুম। প্রাইভেট রুমও আছে। জোস্টেলের নিয়ম হচ্ছে, লোকাল কেউ সেখানে থাকতে পারবে না, অন্য জায়গা থেকে আসা ট্রাভেলার হতে হবে। মানালিতে জোস্টেলে থাকার সময় পরিচয় হয়েছিল কলম্বিয়ার একজন গ্রাফিক ডিজাইনারের সঙ্গে; যে ডিজাইন পেশা ছেড়ে পেশা হিসেবে বাবার সঙ্গে কৃষি খামারে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেন? সেই বিস্তারিত আড্ডার কথা বলব অন্য কোনো এক লেখায়।
আমাদের আড্ডা জমে উঠেছিল তাঁর দেশে শুটিং হওয়া নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘নারকোস’ প্রসঙ্গে। পাবলো এস্কোবারের উচ্চারণ নাকি স্থানীয় স্প্যানিশ নয়, এটা নিয়ে ওরা খুব হাসাহাসি করে। মজা পেয়েছিলাম সেই আড্ডায়—আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন ফিনল্যান্ডের এক তরুণী। যাঁর প্রেমিক তাঁকে ভ্রমণের জন্য পানির বোতল থেকে শুরু করে ব্যাকপ্যাক পর্যন্ত দিয়েছেন। এটা বলার কারণ, আমার মতো ‘একলা’ মানুষই শুধু সলো ট্রাভেলিংয়ে আসে না, সম্পর্কে বিশ্বাস থাকলে প্রেমিকও তাঁর প্রেমিকাকে একা ভ্রমণে সাহায্য করেন।
গোয়াতে পাপ্পিচুলো নামে একটি হোস্টেল আছে, যেখানে রাতে নান্দনিক আতশবাজি ফোটানো হয়, পুরো হোটেলের দেয়ালে বিখ্যাত এক গ্রাফিতি আঁকিয়ের গ্রাফিতি করা। গোয়াতে ‘নামাস্তে’ নামে আরেক হোস্টেলে ছিলাম। জটা ধরা সন্যাসী থেকে শুরু করে নানা কিসিমের এথনিক মিউজিশিয়ানের আড্ডাখানা সেখানে। আরেক কনসেপ্টের হোস্টেল ছিল বাঙ্কার নামে। জাহাজের কনটেইনারগুলোকে সমুদ্রপারের জঙ্গলের মধ্যে ফেলে একেকটা কনটেইনারের মধ্যে ছয়জনের বিছানা পাতা হয়েছে। খুব মজার সেই অভিজ্ঞতা।
ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ গিলি এয়ারে বেগাডাং নামের হোস্টেলটি খুবই শান্ত আর শান্তির। ছোট ছোট একজনের ছোট কুটিরে থাকা, আবার সাত কি আটজনের ডর্মরুমও আছে। এখানে কয়েকজন লেখকের সঙ্গে পরিচয় হলো পলিউশনহীন এই দ্বীপে, তারা আসে মূলত লিখতে। এই ট্রাভেলেই আমার সঙ্গে পরিচয় হয় আলাস্কার গ্রাম থেকে আসা এক তরুণীর, যার গ্রামে কখনো মোটরগাড়ি যাওয়ার সুযোগ নেই। স্লেজে করে শহরে আসে। তার মনে হয়েছে, দুনিয়া ঘুরে সেই অভিজ্ঞতা ছড়িয়ে দেবে তার গ্রামের লোকদের মধ্যে। আমার ভালো লাগে গল্পগুলো শুনতে।
প্রতিবছর দুবার একা ভ্রমণে যাই। অনেকটা নেশার মতো হয়ে গেছে। বৈচিত্র্যময় মানুষ এবং তাদের অভিজ্ঞতা আমাকে নতুন কিছু নির্মাণে অনুপ্রাণিত করে।
একাকী ভ্রমণকারীদের জন্য ১০টি পরামর্শ
১. স্যুটকেসের মতো ব্যাগ না নিয়ে ভ্রমণের পুরো জিনিসপত্র ব্যাকপ্যাকে তুলে নিন। এতে হাঁটাচলা, খাওয়া, বই পড়ায় আরাম হবে।
২. ছোট একটি তালা সঙ্গে রাখুন। হোস্টেলের ডর্ম রুমে সবার আলাদা লকার দেওয়া হয়, কিন্তু লকারের তালা নিজেরই নিতে হয়।
৩. প্রয়োজনীয় টুথপেস্ট, শাওয়ার জেল, টাওয়াল সঙ্গে নিন। হোস্টেলগুলোতে ওয়াশরুমে নিজের জিনিস নিজের ব্যবহার করতে হয়।
৪. কোমর বা কাঁধে ঝোলানো ছোট পাউচ টাইপ ব্যাগে মোবাইল, টাকাপয়সা বহন করলে চলতে– ফিরতে আরাম হয়।
৫. হোস্টেলে বুকিং দিতে Booking.com অথবা hostelworld.com–এ ক্রেডিট কার্ড লাগবে। নিজের বা অন্যের হতে পারে।
৬. সাধারণত এক রাতের জন্য পাঁচ কি ছয়জনের ডর্ম রুমে একটি বিছানা ১০ থেকে ১২ ডলারের মধ্যেই পাওয়া যায়। অবস্থানভেদে কমবেশি হতে পারে।
৭. খাবার হোস্টেলেই পাওয়া যায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, দামও কম। অনেক হোস্টেলে রান্না করে খাওয়া যায়, তবে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার অভ্যাস থাকলে কম খরচে অনেক দিন ভ্রমণ করা যায়।
৮. গান শোনা, সিনেমা দেখার জন্য হেডফোন সঙ্গে রাখুন, যাতে রুমমেটরা বিরক্ত না হোন।
৯. ভ্রমণে পাঁচ কি ছয় দিন পর কাপড় ধোয়ার প্রয়োজন হবে, বেশির ভাগ হোস্টেলে কেজি দরে কাপড় পরিষ্কার করার ব্যবস্থা আছে। কাজেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাপড় না নেওয়া ভালো।
১০. একা ভ্রমণে ভালো বন্ধু জুটবেই তা কিন্তু নয়। একা সময় কাটানোর মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বই, সিনেমা ডাউনলোড করে রাখা যেতে পারে। নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া, নিজেকে জানার মধ্যেও আনন্দ আছে, ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে নিজেকে আবিষ্কার করার আনন্দ অবশ্যই অতুলনীয়।
(লেখাটি প্রথম আলোর বিশেষ ম্যাগাজিন বর্ণিল বেড়ানো ২০২০ থেকে নেওয়া)
লেখক: চলচ্চিত্র নির্মাতা