মনের বাক্স

থাকুক না কিছু না-বলা
ছেলে,
প্রতিদিন কথা হয় আমাদের। অথচ জানো, আমি তোমাকে যা যা বলতে চাই, কখনোই বলতে পারি না। থাকুক না কিছু না-বলা। তবে আজ একটা কথা অন্তত বলতে চাই। ছেলে, তুমি শুধু আমার ভালোবাসাই না, তুমি আমার অভ্যাস, তুমি আমার নেশা। তুমি আমার প্রতিটা হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছ। তাই এই নেশা কেটে যাওয়া মানে হৃৎস্পন্দনও থেমে যাওয়া। এই কারণেই আমি বুঝতে পারি তুমি ভালো আছ কি না। কারণ, তোমার ভালো থাকার সঙ্গে আমার ভালো থাকাও জড়িত। এবার বুঝলেন মি. সুইট?
ভালো থেকো, সব সময়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
তাকে এখন কাঁদাতে পারব না
বন্ধু, খুব ভালোবাসি তোকে। তুই এটা জানিস, তবু কেন এমন করিস? আমি তোকে বন্ধু হিসেবেই ভালোবাসতাম। আমি জানতাম না, তুই আমাকে আরও একটু কাছে পেতে চাস। কীভাবে জানব বল, তুই তো কখনো আমাকে বলিসনি। তুই আগে বলতি, ‘দোস্ত, তোর জন্য মেয়ে আমি পছন্দ করে দেব।’ তাই বোঝার কোনো উপায়ই ছিল না যে তুই আমাকে অন্য রকমভাবে কাছে পেতে চাস। আজ আমার জীবনে যখন একজন এসেছে, তখন তুই আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেছিস। আমি বলে বোঝাতে পারব না আমি কতটা কষ্ট পেয়েছি তোর এই আচরণ দেখে। আমি তোর কাছ থেকে এটা আশা করিনি, বন্ধু। আমি জানি, তুই অনেক কষ্ট পেয়েছিস। কিন্তু একটা মেয়েকে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলেছি। তাকে এখন কাঁদাতে পারব না। দুঃখিত বন্ধু।
শাফায়েত, ময়মনসিংহ।

আমার ভালোবাসার মূল্য কত
আজ নাহয় তোমার মনের দরজা থেকে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছ। একদিন তোমাকে আর তাড়াতে হবে না। আমি নিজেই হারিয়ে যাব দূর অজানায়। তখন খুঁজেও পাবে না আমাকে। হয়তো তুমি ভালোবাসার সাগরে ডুবে আছ। তাই আমার ভালোবাসা বোঝোনি। যেদিন সেই সাগর শুকিয়ে যাবে, তখন বুঝতে পারবে আমার ভালোবাসার মূল্য কত। যতটুকু দোষ করিনি, তার চেয়ে বেশি সাজা পেয়েছি। তাতে আমার দুঃখ নেই, কিন্তু একদিন ভুল ভাঙবে, যখন কারও দেখা কেউ পাব না। জানি ভালোবাসা এমনই হয়—কেউ জেতে আর কেউ হারে। আমি নাহয় হারলাম তোমার সুখের জন্য। যেখানে থাকো ভালো থাকো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
তোমাকে আজও ভুলতে পারলাম না
সেই প্রথম শ্রেণিতে তোমার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা। তারপর তুমি হলে আমার সবচেয়ে কাছের। যদি এক দিন স্কুলে না আসতে, আমি ছুটে যেতাম তোমার বাড়ি তোমাকে দেখার জন্য। তারপর এসএসসি পাস করার পর তুমি চলে গেলে অন্য কলেজে। আর কোনো যোগাযোগ হয়নি তোমার সঙ্গে আমার। কোথায় হারিয়ে গেলে জানি না। আমি এখনো তোমার কথা ভুলতে পারলাম না। জানি না আমার কোনো কথা তোমার মনে আছে কি না।
দীপঙ্কর
কোথায় হারিয়ে গেল সেসব দিন
জীবন থেকে ১২টা বছর কীভাবে চলে গেছে, বলতে পারব না। হয়তো এখানেই শেষ পড়ালেখা। তাতেও দুঃখ নেই। বাবার হাত ধরে সেই দিনও প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে, বন্ধুদের সঙ্গে দুষ্টুমি করতে গিয়ে পড়ে হাত-পা কেটে ফেলা আর মায়ের মার খাওয়া ছিল নিত্যনতুন। তারপর আসে হাই স্কুল, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা, স্কুল পালানোসহ আরও কত কী! আজ কলেজজীবনের শেষ প্রান্তে, এখানে দুষ্টুমি করার তেমন সময় ছিল না। মাঝেমধ্যে অচেনা মুখের ভিড়ে চেনা হাসি দুই-চারটা কথা, গল্প, গান...
পার্থ বণিক, ফেনী।
তোকে অনেক মিস করছি, বন্ধু
বন্ধু সবাই হতে পারে কিন্তু জড়িয়ে ধরে কাঁদার মতো সবাই হতে পারে না। আমার জীবনে তেমনই তুই একজন। তুই তো আমার শৈশব-কৈশোরের পথচলার সাথি, আজ পর্যন্ত তা-ই আছিস। তোর বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনের অর্ধেক পার হয়েছে। এর মধ্যে তোর জীবনে কত কিছু না ঘটল। হারিয়েছিস জীবনের অতি মূল্যবান ব্যক্তিটিকে। বাকি জীবনটুকু চলার জন্য পেয়েছিস সঙ্গী, নতুন বন্ধুবান্ধব।
ভুলতে বসে হয়তো আমাকে মনে রেখেছিস। প্রতিটি মুহূর্তে আমি তোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি, তোকে অনেক মিস করছি, বন্ধু। ভালো থাকিস।
পলাশ
রাজশাহী।
মানুষ বাঁচে কত দিন!
অল্প সময়ের জীবন মানুষের। দেখতে দেখতে বিদায়ের ঘণ্টা বেজে ওঠে। পালকি এসে দুয়ারে দাঁড়ায়। অথচ এক জীবনে কী সাংঘাতিক ব্যস্ততা! দিনে-রাতে বিরামহীন ছুটে চলা। মিথ্যা যশ-খ্যাতি, সম্পদের আশায় মানুষে মানুষে হানাহানি আর খুনোখুনি। ‘মানবতা’ শব্দটি তখন অভিধানে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। অতঃপর, ফল শূন্য। পালকি এসে শূন্য শরীরটাকে তুলে নেয়। যার সঠিক কোনো অর্জন নেই, দর্শন ছিল না। যে শুধুই বেঁচে ছিল পশুর মতো।
জীবনে সৌন্দর্যবোধ থাকা খুব জরুরি। মানবতাবোধ থাকা বাধ্যতামূলক। তবেই না অল্প দিনের এই জীবন চিরসত্য, চিরসুন্দর হবে।
মেহেদী হাসান
শ্রীপুর, গাজীপুর।
কেন চলে গেলে?
আশা করি আমায় ছেড়ে তুমি ভালো নেই। তবে কেন চলে গেলে? কী ভুল ছিল আমার, বলতে পারতে তুমি। আমি হয়তো তোমার কাছে ক্ষমা চাইতাম। তোমায় ছাড়া আমার সবকিছু যেন অর্থহীন।
প্লিজ, ফিরে এসো।
দীপংকর দাস
যশোর।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা
অধুনা, প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল: adhuna@prothom-alo.info ফেসবুক: facebook.com/adhuna.PA. খামের ওপর ও ই-মেইলের subject-এ লিখুন ‘মনের বাক্স’