শুধু টিকটক কেন, যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরই ভালো–মন্দ আছে

অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে টিকটক। অনেকে বলছেন, সামাজিক এই যোগাযোগমাধ্যমই প্রযুক্তি দুনিয়ার ‘নেক্সট বিগ থিং’। আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হিসেবে টিকটককে গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে টিকটকে রুচিশীল কনটেন্টের অভাব, এটি তরুণদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে—এমন অপবাদও শোনা যায়। তরুণদের মধ্যেও রয়েছে টিকটক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দেশের নানা প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীর কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম টিকটক সম্পর্কে তাদের ভাবনা।

অনুপম দাস, শিক্ষার্থী, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

শুধু টিকটক কেন? অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেরই ভালো-খারাপ দুটো দিকই আছে। আমি টিকটকের মাধ্যমে এমন কিছু ভিডিও দেখার সুযোগ পেয়েছি, যা আমার কাছে দারুণ লেগেছে। একটা টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে আমি নিয়মিত বিভিন্ন ইংরেজি শব্দের উচ্চারণ শিখি। আবার ইউরোপের কয়েকজন পর্যটকের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে আমি সেই দেশের সংস্কৃতি ও খাবার সম্পর্কে দারুণ সব তথ্য জানার ও ভিডিও দেখার সুযোগ পাচ্ছি। টিকটকের অনেক ভাইরাল কনটেন্ট আছে, যা স্রেফ হুজুগে তৈরি কোনো ভিডিও নয়। এমন কিছু ছোট ছোট ভিডিও দেখেছি, যার মাধ্যমে আমি কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের বিভিন্ন কাজের ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

অনেকেই আছেন যাঁরা ছবি এঁকে, গান গেয়ে, নেচে, টিকটকের মাধ্যমে পরিচিতি পাচ্ছেন। আমার কাছে টিকটক অন্য দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। আমি ইতিহাস, ভ্রমণ বা ম্যারাথন-সংশ্লিষ্ট বিষয় পছন্দ করি বলেই হয়তো টিকটকের মাধ্যমে এই বিষয়ে সুন্দর সব ভিডিও দেখার সুযোগ পাই।

হোক সেটা যেকোনো প্রযুক্তি—আপনি ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করছেন কি না, আপনার ওপরই নির্ভর করবে সেটা। আমি মনে করি, টিকটককে কাজে লাগাতে পারলে মেধা ও সৃজনশীলতার চর্চা করার সুযোগ আছে।