সোনা রুপা তো অনেক হলো, এবার না হয় সামুদ্রিক চলুক
সোনার গয়না এখন অনেকটা ‘আউট অব ট্রেন্ড’। গা–ভর্তি সোনার গয়না এখন বিয়েতেও খুব কমই দেখা যায়। নানা কারণে সোনার গয়নার জায়গা নিয়েছে নানান নিরীক্ষামূলক গয়না। যেমন সামুদ্রিক উপাদানে বানানো গয়না।
সাগরবক্ষ থেকে সংগৃহীত দৃষ্টিনন্দন ঝিনুক, শামুক ও করতাল দিয়ে গয়না বানিয়ে হাত, কান ও গলায় পরার চল নতুন না। আদিকাল থেকে এসব গয়নাকে সমুদ্রের শক্তির ধারক ও শুভ কিছুর ইঙ্গিত হিসেবে অলংকার বানিয়ে শরীরে ব্যবহার করে আসছে মানুষ। আধুনিক সময়েও সামুদ্রিক প্রাকৃতিক এসব উপাদানে তৈরি গয়নার আবেদন কমেনি।
কক্সবাজার বা যেকোনো সাগরকেন্দ্রিক স্থানে বাণিজ্যের একটি বড় অংশ গড়ে উঠেছে ‘সি–শেল’–এর গয়না দিয়ে। নারীর গয়নার বাক্সটাও যেন সামুদ্রিক উপাদানে তৈরি অলংকার ছাড়া অসম্পূর্ণ। সাগরের এসব শেলের সঙ্গে রঙিন পুঁতি, কাপড় বা অন্যান্য ধাতু জুড়ে তৈরি হয় দৃষ্টিনন্দন এসব গয়না।
এসব সামুদ্রিক উপাদানের শাঁস ব্যবহার করেই গয়না বানায় ‘মনসিজ ক্র্যাফট’। তাদের অলংকার তৈরির প্রধান উপকরণ কড়ি, শামুক, ঝিনুক, করতাল, চাষের মুক্তা ও সামুদ্রিক পাথর। অলংকারের নকশা হিসেবে কখনো জ্যামিতিক ফর্ম, আবার কখনো প্রাকৃতিক আকৃতি অক্ষুণ্ন রেখেই এগুলো দিয়ে বানানো হয়েছে গয়না।
এত কিছু থাকতে কেন সামুদ্রিক শেলে গয়না? এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সাদিয়া শারমিন বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকে প্রকৃতি প্রদত্ত সংগ্রহকে কেন্দ্র করে মানুষ নিজেকে সাজাতে পছন্দ করে। প্রাচীন সভ্যতা, অর্থনীতি ও সামাজিক অনেক কাজেই সামুদ্রিক শাঁসকে আশীর্বাদ মনে করা হয়। আপনি যে ফ্যাশন ধারণ করবেন, সেটির যদি কোনো মৌলিক ইতিহাস থেকে থাকে, তবে সেই ফ্যাশন ধারণের মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠবেন আকর্ষণীয়, সবার মধে৵ সবার চেয়ে আলাদা। নিজেকে অন্যান্য গয়না ব্যবসায়ী থেকে আলাদা করতেই কাঁচামাল হিসেবে বেছে নিয়েছি সামুদ্রিক উপাদান।’
জাঁকজমকপূর্ণ কিংবা সামাজিক ছোট–বড় যেকোনো অনুষ্ঠানে শাড়ি, সালোয়ার–কামিজ বা পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে যাবে কড়ির মালা। বিশেষ করে সুতি, খাদি, বাটিক, টাইডাই ও তসরের পোশাকে যেকোনো বয়সের নারী পরতে পারেন এসব গয়না। এতে রুচি আর ব্যক্তিত্বে স্বাতন্ত্র ফুটে উঠবে। কানের দুল, লকেট ও নেকলেসের দাম পড়বে ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা।