রক্তের গ্রুপ নিয়ে প্রচলিত এই বিশ্বাসগুলোর কথা জানতেন?
রক্তের গ্রুপের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সম্পর্ক আছে, এমন একটি বিশ্বাস কিছু সংস্কৃতি, বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে চালু আছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ব্লাড গ্রুপ পারসোনালিটি থিওরি’ তুমুল জনপ্রিয়। আপনি বিশ্বাস করবেন কি না, সেটা আপনার বিষয়। সায়েন্স ডিরেক্ট ও রিসার্চ গেট অনুসারে জেনে নেওয়া যাক কোন রক্তের গ্রুপের অধিকারীরা কেমন বৈশিষ্ট্যের হন। আপনিও মিলিয়ে নিন, তবে আবারও বলছি এসব কেবলই বিশ্বাসের বিষয়।
‘এ’ রক্তের গ্রুপের মানুষেরা অধ্যবসায়ী, সতর্ক, দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীল হিসেবে বিবেচিত। কখনো কখনো তাদের ‘পারফেকশনিস্ট’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। বিশেষ করে ‘এ’ পজিটিভ রক্তের গ্রুপের মানুষদের নেতৃত্বের ক্ষমতা ভালো। অন্যদিকে যাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ নেগেটিভ, তারা সহজে হতাশ হয় না। কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্য অর্জন করে। কোনো কাজ থেকে পিছিয়ে পড়ে না। পিছিয়ে পড়লেও থেমে যায় না; বরং নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
‘বি’ রক্তের গ্রুপের মানুষেরা সৃজনশীল, আবেগপ্রবণ ও স্বতন্ত্রবাদী। শান্ত স্বভাবের ‘বি’ গ্রুপের মানুষের ‘আউট অব দ্য বক্স’ চিন্তাভাবনা করার প্রবণতা বেশি। বন্ধুবৎসল হিসেবে তাদের সুনাম আছে।
‘বি’ পজিটিভ রক্তের গ্রুপের লোকেরা আবেগপ্রবণ ও খুব সাহসী হয়। কেউ কেউ টাকা খরচ করতে ওস্তাদ। একই সঙ্গে ভীষণ রাগী।
অন্যদিকে ‘বি’ নেগেটিভ গ্রুপের মানুষেরা পরিশ্রমী হয়।
‘এবি’ গ্রুপের মানুষের মধ্যে ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপের সংমিশ্রণে একটি দ্বৈত ব্যক্তিত্ব রয়েছে। তারা যুক্তিসংগত ও সামাজিক।
‘এবি’ নেগেটিভরা কাজের প্রতি মনোযোগী। তাদের সহজে বোঝা যায় না। ধরা দেওয়া মানুষ নয় ‘এবি’ নেগেটিভ গ্রুপের অধিকারীরা। তাদের অনেক বন্ধু থাকলেও কাউকে সহজে বিশ্বাস করে না। তারা অন্যের মতামত মানে, তবে দিন শেষে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে।
অন্যদিকে ‘এবি’ পজিটিভ গ্রুপের লোকেরা পুরো বিপরীত। তারা সহজ ও সরল। তবে সময়ের সঙ্গে মানুষের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হতে থাকে।
‘ও’ গ্রুপের মানুষেরা প্রায়ই বহির্মুখী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, আত্মবিশ্বাসী ও অভিব্যক্তিপূর্ণ। কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে তারা কিছুটা আত্মকেন্দ্রিকও।
ধারণা করা হয়, ‘ও’ পজিটিভ রক্তের গ্রুপের লোকেরা বন্ধুত্বপূর্ণ। অন্যের বিপদে সবার আগে এগিয়ে যায়।
অন্যদিকে ‘ও’ নেগেটিভ গ্রুপের লোকদের মধ্যে রয়েছে কিছুটা অহংবোধ।