বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানি এনভিডিয়ার সিইও ২০ বছর বয়সে ফিরে গেলে কী করতেন, জানেন?

জেনসেন হুয়াং ১৯৯৩ সালে ক্রিস ম্যালাকোভস্কি ও কুরতিস প্রিমের সঙ্গে মিলে প্রতিষ্ঠা করেন প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া। সেদিনের সেই চিপ মেকার কোম্পানিটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানি, কাজ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি নিয়ে। বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে চার ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূলধন অর্জন করেছে এনভিডিয়া। কোম্পানিটির সিইও হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন জেনসেন। সেই জেনসেন ২০ বছর বয়সে ফিরে গেলে কী করতেন, জানেন?

এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেনসেন হুয়াং
ছবি: রয়টার্স

প্রতিষ্ঠানটির সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা জেনসেন হুয়াং যদি এখন শিক্ষার্থী হতেন, তাহলে বোধ হয় ভৌতবিজ্ঞান নিয়ে পড়তেন। বেইজিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি। সাধারণত ২২ বছর বয়সে স্নাতক সম্পন্ন করেন একজন শিক্ষার্থী। জেনসেন জানালেন, ২০ বছর বয়সেই স্নাতক হয়ে যায় তাঁর। তাঁর লিংকডইন প্রোফাইল থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮৪ সালে তড়িৎ প্রকৌশলে স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৯২ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

আরও পড়ুন

ভৌতবিজ্ঞান হলো জড়পদার্থের বিজ্ঞান। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, ভূবিজ্ঞান প্রভৃতি হলো ভৌতবিজ্ঞানের অংশ। কিন্তু কেন এ যুগে কম বয়সে ভৌতবিজ্ঞান পড়াটাকে এত গুরুত্ব দিচ্ছেন জেনসেন?

আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) ১২-১৪ বছর আগে প্রথম গুরুত্ব দেওয়া হয়
ছবি: রয়টার্স

তিনি বলেছিলেন, আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) ১২-১৪ বছর আগে প্রথম গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে যা ছিল, তা হলো কেবল ‘পারসেপশন এআই’। যন্ত্রের মাধ্যমে কেবল কোনো ছবি চেনার সুবিধাটুকুই পাওয়া যেত সেখান থেকে। তারপর এলো জেনারেটিভ এআই। জ্ঞানকে বিভিন্ন ভাষা, সংকেত, ছবি বা অন্যান্য রূপে প্রকাশ করার ক্ষমতা ছিল এর। এখন আমরা বাস করছি ‘রিজনিং এআই’–এর যুগে, যার সমস্যা সমাধানের মতো বৈশিষ্ট্য আছে।

আরও পড়ুন

সামনে আসছে ‘ফিজিক্যাল এআই’–এর যুগ। সেই যুগের উপযোগী হয়ে উঠতে পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, বিভিন্ন কার্যকারণ এবং প্রভাব সম্পর্কে জানতেই হবে। যেমন একটি বস্তু চোখের সামনে না থাকলেও তার অস্তিত্ব আছে। এমন জটিল সব বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে সেই যুগে। ফিজিক্যাল এআই যখন একটা রোবটের মধ্যে থাকবে, সেটাই হবে রোবোটিকস। বিশ্ববাজারের শ্রমের সংকট কাটাতে এই প্রযুক্তি আগামী ১০ বছরের মধ্যে দারুণ কাজে আসবে বলে আশা করেন জেনসেন। অনাগত সেই যুগের সঙ্গে তাল মেলাতেই ভৌতবিজ্ঞান পড়ার কথা বলছিলেন তিনি।

সূত্র: সিএনবিসি

আরও পড়ুন