এআইয়ের চোখে মানুষের সেরা ২৫ অনুভূতি
সম্প্রতি এক ব্যক্তি চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘মানুষের জীবনে সবচেয়ে সেরা অনুভূতি কী কী?’ প্রশ্নকারীর নাম জানা যায়নি। তবে চ্যাটজিপিটির দেওয়া উত্তরটা পাওয়া গেছে। চ্যাটবটের কোনো অনুভূতি না থাকলেও মানুষের জীবনের সেরা ২৫টি অনুভূতির কথা ঠিকই উল্লেখ করেছে। সেসব জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মিলিয়ে দেখুন নিজের সঙ্গে। এই লেখার নিচে কমেন্ট করে আপনার জীবনের সেরা অনুভূতির কথাও জানাতে পারেন।
১. কাউকে গভীরভাবে ভালোবাসা: এমন একজনকে খুঁজে পাওয়া, যে আপনার সঙ্গে সারা জীবন কাটাবে। আপনাকে বুঝবে, সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থাকবে। মন খুলে তাঁর সঙ্গে মনের কথা বলতে পারবেন, ভালোবাসতে পারবেন।
২. মা–বাবা হওয়া: নিজের সন্তানকে একটু একটু করে বড় হতে দেখার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আপনার চোখের সামনে সে একটু একটু করে কথা বলতে শিখবে, হাসবে, কাঁদবে, হাঁটবে...। আপনি তার দায়িত্ব নেবেন। তার যত্ন নিতে নিতে একসময় তাকে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসবেন।
৩. দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়া: মানুষের জীবনে নানা ধরনের স্বপ্ন থাকে। সহজে সেসব স্বপ্ন পূরণ করা যায় না। তবে অনেক চেষ্টা আর ধৈর্যের পর যখন সেই স্বপ্ন পূরণ হয়, তখন তা ভোলা যায় না।
৪. মনের মতো বন্ধু পাওয়া: এমন একজন বন্ধু, যাকে কষ্ট করে কিছু বোঝাতে হয় না। সে এমনিতেই আপনার মনের কথা বুঝতে পারবে। এমন সম্পর্ক খুব কম মানুষের সঙ্গেই হয়। তবে জীবনে এমন একজন থাকলে মনে হয়, আমি একা নই।
৫. কারও জীবন বদলে দেওয়া: কারও জীবন বাঁচানো, কাউকে ভালো কাজের জন্য উৎসাহ দেওয়া বা বিপদের সময় তার পাশে থাকার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। কাউকে এমন সাহায্য করতে পারলে দারুণ এক ভালো লাগা কাজ করে। এই অনুভূতিও অন্য রকম।
৬. অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা: বাংলাদেশের মানুষ ভ্রমণের জন্য কক্সবাজার, কুয়াকাটা, বান্দরবান বা সিলেট বেছে নেয়। কারণ, এসব জায়গায় প্রকৃতির অপরূপ। ভিডিওতে এসব জায়গা আপনি অনেক দেখতে পাবেন, কিন্তু নিজ চোখে দেখার অনুভূতি অন্য রকম।
৭. হাসতে হাসতে চোখে পানি আসা: বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে বা মজার কিছু দেখে আমাদের হাসি পায়। অনেক সময় সেই হাসি বাঁধ মানে না। হাসতে হাসতে চোখে পানি চলে আসে বা পেটব্যথা করে। এমন মুহূর্ত আপনার সহজে ভোলার কথা নয়।
৮. প্রথমবার ‘ভালোবাসি’ বলা বা শোনা: প্রথমবার প্রেমে পড়ার অনুভূতি আপনি ভুলতে পারবেন না। আবার ভালোবাসার মানুষটি যখন ‘তোমাকে ভালোবাসি’ বলে, সেই স্মৃতিও মাথায় থেকে যায় আজীবন।
৯. চিন্তার জগৎ বদলে দেওয়ার মতো জায়গা: অনেকের জীবনে এমনটা হয়। এমন কোনো জায়গায় হয়তো বেড়াতে গেলেন, যেখানে গিয়ে আপনার চিন্তাভাবনাই বদলে গেল। পৃথিবী কত বড় এবং কতটা বৈচিত্রময়, তা উপলব্ধি করার এবং নতুন চিন্তার জানালা খুলে দেওয়া জায়গা তাই ভোলার নয়।
১০. পছন্দের কাজ খুঁজে পাওয়া: এমন কোনো কাজ খুঁজে পাওয়া, যা করতে আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। যে কাজ করলে ক্লান্তি আসে না, মনে হয় না যে কাজ করছেন।
১১. কাউকে ক্ষমা করা কিংবা ক্ষমা পাওয়া: কারও ওপর রাগ বা অভিমান ভুলে গিয়ে তাকে নিঃশর্তে ক্ষমা করে দিলে মনে শান্তি আসে। একইভাবে কেউ আপনাকে ক্ষমা করে দিলেও ঘাড় থেকে অদৃশ্য বোঝা নেমে যায়।
১২. নিজের হাতে সুন্দর কিছু তৈরি করা: নিজের হাতে আঁকা ছবি, বাগান বা অন্য কোনো জিনিস দেখলে আমাদের খুব গর্ব হয়।
১৩. রাত জেগে গল্প করা: প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে সারা রাত গল্প করা। কখন রাত কেটে সকাল হয়ে গেছে, সেই খেয়ালই থাকে না।
১৪. বিপদে নিঃস্বার্থ সাহায্য পাওয়া: সবাই দূরে সরে গেলেও যদি একজন পাশে থাকে, তখন নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। কঠিন সময়ে কোনো স্বার্থ ছাড়া কেউ সাহায্য করলে আমাদের ভালো লাগে।
১৫. একা একা সময় কাটানো: একা থাকা মানেই নিঃসঙ্গতা নয়। অনেক সময় একা থাকতেও ভালো লাগে। যেমন একা বসে বই পড়া বা চুপচাপ প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে সময় কাটানো।
১৬. প্রিয় মানুষের পাশে ঘুমানো: মা–বাবা বা খুব আপন কারও পাশে ঘুমানোর সময় ভরসা আর নিরাপত্তা পাওয়া যায়। প্রিয় মানুষটির পাশে ঘুমালে মনে শান্তি পাওয়া মেলে।
১৭. ক্ষুধার সময় মজার খাবার খাওয়া: মাঝেমধ্যে আমাদের অনেক ক্ষুধা লাগে। চাইলেও খাবার পাওয়া যায় না। পেটে এমন ক্ষুধা নিয়ে যদি মজার কোনো খাবার খাওয়া যায়, তাহলে খুব ভালো লাগে।
১৮. নতুন কিছু জেনে অবাক হওয়া: এমন কিছু জানা বা শেখা, যা আপনার চিন্তার জগৎ বদলে দেবে। সেটা হতে পারে কোনো বইয়ের একটা বাক্য বা কোনো সাধারণ তথ্য।
১৯. অন্যের মুখে হাসি ফোটানো: এমন কিছু করা, যার জন্য অন্য একজন আপনাকে দেখে মন থেকে শ্রদ্ধা জানায়, ভালোবাসে, আপনাকে ধন্যবাদ জানায়।
২০. মনের আনন্দে নাচা: কে কী ভাবছে, তা নিয়ে চিন্তা না করে আনন্দে নাচার মতো পরিবেশ তৈরি হওয়া।
২১. পছন্দের গান শোনা: কোনো কোনো গান শুনে মনে হয় না, গানটা শুধু আপনার জন্যই লেখা হয়েছে। আপনার জীবনের সঙ্গে যে গানের কথা মিলে যায়, সেই গান বারবার শুনতেও ভালো লাগে।
২২. অনেক দিন পর বাড়িতে ফেরা: অনেক দিন বাইরে থেকে নিজের মানুষদের কাছে ফেরার আনন্দ অভাবনীয়। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি ফেরার কয়েকরদিন আগে থেকেই আর কোনো কাজে মন বসে না।
২৩. নিজের জন্য কথা বলা: ভয় না পেয়ে নিজের অধিকারের জন্য কথা বললে তা যদি সবাই ভালোভাবে নেয় এবং আপনার কথা শোনে, তাহলে সেই স্মৃতিও আমাদের ভালো লাগে। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
২৪. পুরোনো কষ্ট ভুলে যাওয়া: অতীতের কোনো দুঃখের ঘটনা নিয়ে ভেবে ভেবে আমরা মন খারাপ করি। কিন্তু সেই দুঃখ যদি ভুলে থাকা যায় বা যে কারণে দুঃখ পাচ্ছেন, তা যদি সমাধান হয়ে যায়, তাহলে আমাদের সুখানুভূতি হয়।
২৫. দুশ্চিন্তামুক্ত একটা দিন কাটানো: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চিন্তা ও দুশ্চিন্তা বাড়ে পাল্লা দিয়ে। দুশ্চিন্তামুক্ত দিন বিরল। ফলে একটা দিন দুশ্চিন্তাহীন হলে মন থাকে ফুরফুরে আর সেই অনুভূতিও অনন্য।
সূত্র: মিডিয়াম