বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদস্মৃতি উদ্যানে শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ
ছবি: সংগৃহীত

সিলেট ক্যাডেট কলেজের পূর্ব পাশে সালুটিকর এলাকায় সুউচ্চ একটি টিলা আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এখানেই ছিল পাকিস্তানি সেনাদের বন্দিশালা। সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবীসহ সাধারণ মানুষদের হত্যা করে এখানে গণকবর দেওয়া হতো।

স্বাধীনতার ৫২ বছর পর সম্প্রতি সেই স্থানে জানা–অজানা সব শহীদের স্মরণে তৈরি করা হয়েছে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদস্মৃতি উদ্যান’। যেখানে ঠাঁই পেয়েছে শহীদ হওয়া ৬৬ জনের নাম-ঠিকানাসংবলিত স্মৃতিফলক। আছে স্মৃতিস্তম্ভ। মুক্তিযুদ্ধ-গবেষক অপূর্ব শর্মার দীর্ঘ অনুসন্ধানপ্রক্রিয়া শেষে এসব শহীদের নাম ও পরিচয় খুঁজে বের করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

৫২ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেলাম

স্মৃতি উদ্যান নির্মাণে তিন সদস্যবিশিষ্ট বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এর সদস্যরা হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জিয়া উদ্দিন আহমদ ও গবেষক অপূর্ব শর্মা। এ ছাড়া উদ্যান নির্মাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ও সিলেটের এরিয়া কমান্ডার এবং সিলেট ক্যাডেট কলেজ কর্তৃপক্ষ সহায়তা করেছে। ৪ মার্চ এ উদ্যানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শহীদ সৈয়দ সিরাজুল আব্দালের স্ত্রী সৈয়দা সাকিনা আব্দাল। স্মৃতি উদ্যানের নকশা করেন স্থপতি শাহরিয়ার আহমদ।

মুক্তিযুদ্ধ-গবেষক অপূর্ব শর্মা জানান, ক্যাডেট কলেজের জায়গায় হওয়ায় স্থানটি এত দিন সংরক্ষিত এলাকা ছিল। স্মৃতি উদ্যান নির্মাণের পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সিলেটের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি ও গণকবরকে সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণের জন্যই এক বিঘা জায়গার ওপর প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে প্রায় ২ হাজার মানুষ শহীদ হয়েছিলেন বলে জানা যায়। হত্যাকাণ্ডের শিকার আরও শহীদের নাম জানা গেলে পরবর্তী সময়ে তাঁদের স্মৃতিফলক সংযুক্ত করার পাশাপাশি উদ্যানের জায়গাও সম্প্রসারিত করা হবে।