দুই ভাই একসঙ্গে পাচ্ছি স্বর্ণপদক

ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে আজ উৎসবের দিন। আজ তাদের অষ্টম সমাবর্তন। সবকিছু ঠিক থাকলে ৬ হাজার ৫২২ জন স্নাতকের আজ সমাবর্তন হবে। এর মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ১৮ জন ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ২০৪ জন পাবেন স্বর্ণপদক। স্নাতক পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়ায় আরও ৪৯ জন পাবেন সম্মাননা। পড়ুন স্বর্ণপদকজয়ী শিক্ষার্থী আরিফ সাকিল এর কথা। তিনি ২০১১–২০১২ সেশনে কৃষি অনুষদে পড়েছেন।

আরিফ সাকিল ও আরিফ সাদিক
ছবি: সংগৃহীত

আমি আর আমার ভাই আরিফ সাদিক একসঙ্গে বাকৃবিতে পড়েছি। আপন ভাইকে রুমমেট, ব্যাচমেট হিসেবে পাওয়া এমনিতেই দারুণ একটা ব্যাপার। একসঙ্গে দুজন এবার স্বর্ণপদকও পাচ্ছি।

আরও পড়ুন

ক্যাম্পাসজীবনটা দারুণ কেটেছে। ব্রহ্মপুত্রে সাঁতার, লেকের জলে মাছ ধরা, আমবাগানে রাতে ভূত এফএম শোনা, বিজয় একাত্তর ও শাপলা চত্বরের পাদদেশে গানের আসর, কেআর মার্কেট ও ফসিলের মোড়ের চায়ের আড্ডায় কখন যে পার করেছি জীবনের ছয়টি বসন্ত, বুঝতেই পারিনি।

পরীক্ষার আগে বন্ধুরা আমাদের দুই ভাইয়ের কাছে আসত পড়া বোঝার জন্য। বুঝত, সাজেশন নিত। সবাইকে বোঝাতে বোঝাতেই আমাদের অনেকখানি পড়া হয়ে যেত।

এখন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছি। ইতিমধ্যে জাপানের সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছি। অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে গবেষণা ও শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রেখে আলোকিত মানুষ তৈরির কারিগর হতে চাই।

আমার ভাই আরিফ সাদিক এখন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ বোটানি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। মাইক্রোগ্রিনস ও উদ্ভিদের লবণাক্ততা সহনশীলতার ওপর গবেষণা করছে। সে-ও বৃত্তি নিয়ে জাপানের সুকুবা ইউনিভার্সিটিতে মাইক্রোগ্রিনস নিয়ে গবেষণা করে এসেছে। এখন পিএইচডির জন্য লেখালেখি করছে।