আনিসুল হকের ২ বই নিয়ে আলোচনা গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে

‘মা’ ও ‘কখনো আমার মাকে’ বই দুটি নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইংরেজি বিভাগ
ছবি: সংগৃহীত

আনিসুল হকের ‘মা’ ও ‘কখনো আমার মাকে’ বই দুটি নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইংরেজি বিভাগ। ‘লেখকের মুখোমুখি’ শিরোনামের এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় গত ৩০ মে।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এলহাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস ও কল্পনার অসাধারণ, অনবদ্য মিথস্ক্রিয়া ঘটিয়ে পাঠককে একেবারে শিকড়ের সান্নিধ্যে নিয়ে গেছেন আনিসুল হক। তাঁর “মা” উপন্যাসটি আমাদের বহুবর্ণিল ইতিহাসের একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের মর্মস্পর্শী বয়ান; এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার মায়ের গৌরবান্বিত আত্মত্যাগের মহান আখ্যান।’

বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শামিম মণ্ডলও বই দুটি নিয়ে তাঁর অনুভূতি তুলে ধরেন। তাঁর মতে, এই দুই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের দীর্ঘ ঐতিহ্যের অংশ। তিনি বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতিবিষয়ক মুগ্ধতা, উপলব্ধি ও উপস্থাপনের সঙ্গে আনিসুল হকের মুগ্ধতা, উপলব্ধি ও উদ্‌যাপন একসূত্রে গাঁথা। গ্রামবাংলার প্রায় হারিয়ে যেতে বসা প্রকৃতিকে পরম মমতায় দালিলিকভাবে উপস্থাপন করেছেন আনিসুল হক।

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আনিসুল হক
ছবি: সংগৃহীত

টি এস এলিয়টের ঐতিহ্যসংক্রান্ত আলোচনা এবং উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের প্রকৃতিসংক্রান্ত ভাবনাকে লেখক এই উপন্যাসে মিলিয়ে নিয়েছেন।’ তিনি মনে করেন, ‘কখনো আমার মাকে’ উপন্যাসটি দেশ, জাতি ও মাতৃভূমির প্রতি আনিসুল হকের ঋণ শোধের প্রচেষ্টা।

আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক আনিসুল হক। বক্তৃতায় বর্তমান পৃথিবীকে সুস্থ ও সুন্দর করার ক্ষেত্রে সাহিত্যের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ছাত্রছাত্রী ও সম্ভাবনাময় লেখকদের সব ধরনের বই বেশি বেশি পাঠের পরামর্শ দেন।

আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত


অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর সিরাজুম মুনিরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শরীফ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-উপাচার্য খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ। অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মো. গোলাম সামদানি ফকির। তিনি তাঁর কর্মজীবনের সঙ্গে আনিসুল হকের কর্মজীবনের সামঞ্জস্যের ওপর আলোকপাত করে বলেন, ভবিষ্যৎ কর্মজীবন নির্ধারণের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্লেষণের ওপর জোর দেওয়া দরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং ইংরেজি বিভাগের চেয়ারপারসন মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ।