আমার মতো সমস্যায় যেন অন্যরা সহায়তা পায়

এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। সেখানে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণদের পাঁচ উদ্যোগ। তালিকায় আছেন রিল্যাক্সির সহপ্রতিষ্ঠাতা জাহ্নবী রহমানও। পড়ুন তাঁর উদ্যোগের পেছনের ভাবনা।

এই তরুণেরাই গড়েছেন রিল্যাক্সি নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি
ছবি: সংগৃহীত

আমি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) পড়েছি। ভর্তির পর থেকেই অনেকের কাছে শুনেছি, এ বিষয়ে পড়ে কী হবে? সব বাধা পেরিয়েই পড়াশোনা শেষ করেছি। আমাদের দেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে নারীদের পড়ার হার এখনো কম। কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশলেও সংখ্যায় কম মেয়েরা। আমি যখন রুয়েটে ভর্তি হই, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য তখন মাত্রই হল তৈরি হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন জায়গা, নতুন বন্ধুদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরুতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। নতুন বন্ধুদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু থেকেই চেষ্টা করছিলাম। তবে প্রকৌশলে পড়ার চাপ, ক্লাস-ল্যাব, রুটিন ধরে পড়ালেখা—এসবের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটা সংকট টের পাচ্ছিলাম। নিজের জীবনের নানা সংকটে পরামর্শ নেওয়ার জন্য তখন পাশে কাউকে পাইনি। শৈশব থেকেই সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আমার আগ্রহ। আরেকজন তরুণ যেন তাঁর সংকটে কাউকে পাশে পান, সেই লক্ষ্যেই কিছু করার কথা ভাবতে থাকি।

এরই মধ্যে করোনা শুরু হলে পড়ালেখায় একটা বিরতি পড়ে। তখন আরও কয়েকজনকে নিয়ে রিল্যাক্সি নামের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করি। শুরু থেকেই দুই বন্ধু নাইমুল হক ও সামিউল ইসলাম আমার পাশে ছিল। ২০২১ সালে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে রিল্যাক্সি। শুরু থেকেই আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনোবিদদের নিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক আলোচনা, লাইভ পডকাস্টসহ নানা আয়োজন করেছি। ২০২২ সালে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় অ্যাপ, যার মাধ্যমে কিশোর–তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যসহায়তা দেওয়া হয়। অ্যাপটি ২৫ হাজারের বেশি ডাউনলোড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষকে আমরা মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কার্যকর সহায়তা দিয়েছি।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এরই মধ্যে আমরা হুয়াওয়ের আইসিটি ইনকিউবেটর ২০২২-এ দ্বিতীয় রানারআপ হই। এবার স্বীকৃত দিল ফোর্বস।

আরও পড়ুন