মলের রং দেখে কি রোগ চেনা যায়

সাধারণভাবে মলের রং হয়ে থাকে বাদামি বা হলদে ধরনের। অধিকাংশ সময়ই মলের রঙে কিছুটা পরিবর্তন আসে খাবারের কারণে। তবে কখনো কখনো মলের রং থেকে কিছু রোগ সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়।

সবুজাভ বা সবুজ রঙের মল সাধারণত কোনো রোগের লক্ষণ নয়। সবুজ শাকসবজি কিংবা সবুজ রং দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় খেলে মলের রং সবুজ হতে পারে। আয়রন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া হলেও এমনটা হতে পারে। কখনো কখনো ডায়রিয়ায় মলের রং সবুজ হতে পারে।

হলুদ মল যদি আঠালো ধরনের হয় এবং তা থেকে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়, তাহলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হজমপ্রক্রিয়ায় কিছুটা গড়বড় হওয়ার কারণে এমন ধরনের মল হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, মায়ের দুধ খাচ্ছে—এমন শিশুর জন্য হলুদ মল স্বাভাবিক।

পিত্তরসের পরিমাণ কমে গেলে এমন মল হতে পারে। পিত্তথলির পাথর বা টিউমারের কারণে পিত্তনালি ব্লক হয়ে গেলে এ ধরনের মল হতে পারে। হেপাটাইটিসের ক্ষেত্রেও এমন মল হতে পারে। কিছু ওষুধের প্রভাবেও অবশ্য মলের রং এমন হয়ে থাকে।

জন্মের পর কয়েক দিন পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই একজন নবজাতকের মল কালচে হতে পারে। এ ছাড়া অন্য কোনো বয়সে কালো মল হলে তার পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা বের করা প্রয়োজন। খুব গাঢ় রঙের খাবার খাওয়ার কারণে মলের রং কালচে হতে পারে। আয়রন সাপ্লিমেন্ট বা বিশেষ ওষুধ গ্রহণের কারণে মলের রং কালো হতে পারে।
এ রকম কোনো কারণ না থাকলে কালো রঙের মলের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিন। জরুরিভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, পরিপাকতন্ত্রের কোনো জায়গায় রক্তক্ষরণ হলে সেটির কারণে মল কালো হতে পারে।

বিটরুট, টমেটো, লাল রং দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় খেলে মলের রং লালচে হতে পারে। তবে এমন কোনো কারণ না থাকলে লালচে মল হওয়াটাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। অতিসত্বর নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ।

গাজর, মিষ্টিকুমড়া, মিষ্টি আলু কিংবা কমলা রং দেওয়া কোনো খাবার বা পানীয় খেলে মলের রং কমলা হতে পারে। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টাসিড–জাতীয় ওষুধের কারণেও মলের রং এমন হতে পারে। তবে এমন কোনো কারণ না থাকলেও যদি কয়েক দিন কমলা রঙের মল হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেসব কারণে মলিন বা কাদার মতো রঙের মল হয়, সেসব কারণে কখনো কখনো মলের রং কমলা হতে পারে।

সূত্র: ওয়েবএমডি