ঠিকঠাকভাবে আইলাইনার দেওয়ার ৩টি সহজ উপায়
আইলাইনার দেওয়ার তেমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে অনলাইন ঘুরে পাওয়া গেল কিছু মজার কৌশল, যা আইলাইনার দেওয়ার কাজটাকে অনেকটাই সহজ করে তুলবে।
কারও কারও আইলাইনার দেওয়া দেখলে মনে হয়, দুনিয়ায় এর চেয়ে সহজ কাজ বুঝি আর হয় না। তবে এদের সংখ্যা খুব কম। আইলাইনার দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়া মানুষের সংখ্যাই বেশি। আইলাইনার দিতে গিয়ে এদের হাত কাঁপে!
এদের কাছে দুই চোখের আইলাইনারের উইংস সমান করাটাকে মনে হয় পাটিগণিতের সরল অঙ্ক মেলানোর মতো জটিল। বারবার আইলাইনারের উইংস সমান করতে গিয়ে মাঝপথে সাজের বারোটা বাজানো এদের জীবনে নিয়মিত ঘটনা।
এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসও কম হয় না। আসলেই ঠিকঠাক আইলাইনার দেওয়ার কোনো সহজ সূত্র কি নেই?
১. ববি পিন দিয়ে
প্রথমে ববি পিনের গোড়ায় আইলাইনার লাগিয়ে নিন। এরপর চোখের বাইরের কোণে ববি পিনটি চেপে ধরুন। এতে উইংসের মতো হালকা ছাপ পড়ে যাবে। সেই ছাপ ধরে আইলাইনার টেনে নিলে দুই চোখের উইংস প্রায় সমান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
২. স্কচটেপ দিয়ে
চোখের বাইরের কোণে ছোট এক টুকরা স্কচটেপ লাগিয়ে নিন। টেপটিকে নির্দেশিকা হিসেবে ধরে আইলাইনার লাগিয়ে ফেলুন। কাজ শেষ হলে টেপ খুলে ফেলুন। তবে খুব বেশি আঠালো টেপ ব্যবহার করা উচিত নয়, চোখের আশপাশের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৩. সিলিকনের অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে
আইলাইনার দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি একধরনের সিলিকনের অ্যাপ্লিকেটর পাওয়া যায়। সিলিকনের অ্যাপ্লিকেটর চোখের ওপর বসিয়ে তার পাশ দিয়ে আইলাইনার এঁকে নিলে সহজেই সুন্দরভাবে আইলাইনার দেওয়া যায়। যাঁরা একদমই আইলাইনার দিতে পারেন না, তাঁদের জন্য এটি বেশ কার্যকর।
আরও কিছু টিপস
তাড়াহুড়া করে আইলাইনার দেবেন না। একবারে পুরো উইংস টানতে না পারলে ছোট ছোট ডট আঁকুন। এরপর ডটগুলোকে মিলিয়ে নিন।
আইলাইনার ছড়িয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই কটনবাডে সামান্য মেকআপ রিমুভার নিয়ে ঠিক করে নিন।
আপনার চোখ ছোট হলে পাতলা করে আইলাইনার দিন, চোখ বড় দেখাবে। আর চোখ বড় হলে মোটা করে আইলাইনার দেওয়া যেতে পারে।
খুব গরম বা আর্দ্র আবহাওয়ায় ওয়াটারপ্রুফ আইলাইনার বেছে নিন।
উইংস বানানোর সময় চোখ খোলা রেখে আয়নার দিকে তাকান। চোখ বন্ধ করে আঁকলে উইংস বাঁকা হওয়ার শঙ্কা থাকে।