ইয়ামি গৌতমের সৌন্দর্য-রুটিন

ছবি: ইয়ামির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

বলিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র ইয়ামি গৌতম। ছোট পর্দায় ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে সিনেমাজগতে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। বলিপাড়ায় ঢোকার আগে ‘চাঁন্দকে পার চালো’ দিয়ে তাঁর অভিনয়জীবন শুরু হয়। জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ধারাবাহিক ‘ইয়ে প্যায়ার না হোগা কাম’-এর মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালে কন্নড় ছবি ‘উল্লাস উৎসাহ’-এর মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় আবির্ভাব ঘটে তাঁর।

ডায়েট চার্টের ব্যাপারে বেশ সচেতন ইয়ামি
ছবি: ইয়ামির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

সুহাসিনী এই অভিনেত্রী বলিউডে পা রাখতেই সাড়া পড়ে যায় চারদিকে। চমৎকার ভঙ্গিমা আর কাজের প্রতি অনুরাগ ও নিয়মানুবর্তিতার কারণে মন জয় করেছেন সবার। ইয়ামি গৌতম জি সিনে পুরস্কারে সমালোচকদের রায়ে সেরা নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার জিতে নেন। এর জন্য প্রচুর সময় ও শ্রম দিয়েছেন তিনি। তবে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ডায়েট চার্টের ব্যাপারে বেশ সচেতন।

ইয়ামি মনে করেন, একজন অভিনয়শিল্পীর জীবনে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পরেও তাঁদের দর্শকের মনোরঞ্জন করতে হয়। তাই সৌন্দর্য ধরে রাখা ও নিজেকে ফিট রাখা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে বয়স, ওজন, শরীরের রোগব্যাধি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান নির্ধারণ করতে হবে।

সৌন্দর্য ধরে রাখা ও নিজেকে ফিট রাখা খুবই জরুরি মনে করেন ইয়ামি
ছবি: ইয়ামির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

তাই তিনি নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রচুর পানি পান করেন। এটি একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম এবং সুন্দর থাকতে সাহায্য করে। চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়া কিংবা পরিহার করার চেষ্টা করেন তিনি। আর নাশতায় ফল, বাদাম ও গ্রিন টি খেয়ে থাকেন। কখনো কখনো তিনি আদা–চাও খান। তাঁর নাশতায় থাকে যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর উপকরণ। এ সময় তিনি নাচনি পরোটা ও পনির খেতে ভালোবাসেন।

ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় ইয়ামি গৌতম প্রচুর পরিমাণে তাজা শাকসবজি খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া কাজুবাদাম ও বেরি তাঁর খুবই পছন্দের। দুপুরে তিনি প্রচুর ফলমূল খান। সঙ্গে আরও থাকে বিভিন্ন রকমের সবজি ও শস্যজাতীয় খাবার। নিউটেলা আর পনিরও থাকে তাঁর পছন্দের তালিকায়। বিকেলে খুব হালকা স্ন্যাক তাঁর প্রিয়। পেস্ট্রি তাঁর খুবই প্রিয়। তিনি ভাতের পরিবর্তে খান কিনোয়া। সন্ধ্যার দিকে তিনি বেশি করে সালাদ ও ফক্স নাট খেতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

সন্ধ্যার দিকে তিনি বেশি করে সালাদ ও ফক্স নাট খান
ছবি: ইয়ামির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

রাতে খাবারের মেন্যুতে স্যুপ তাঁর চাই-ই। সঙ্গে সেদ্ধ বা গ্রিলড কিছু থাকে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ডাল খেয়ে থাকেন। কখনো কখনো তিনি সালাদও খেয়ে থাকেন। তবে রাতেও তিনি ভাত যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করেন। দুপুরের মতো রাতের খাবারেও কিনোয়াকে বেছে নেন। তিনি হার্ট-ফ্রেন্ডলি খাবার খেতে পছন্দ করেন। সাধারণত রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলেন।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য ইয়ামি ব্যক্তিগত ট্রেইনারের পরামর্শ গ্রহণ করেন। কারণ, তিনি মনে করেন, শরীরের অবস্থা ও চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত শরীরচর্চা করা খুবই জরুরি। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্রি-হ্যান্ড ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি, যা তিনি সব সময় করেন।

নিয়মিত শরীরচর্চা করেন
ছবি: ইয়ামির ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই ইয়ামি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কআউট করতে ভোলেন না। আর সকালের ওয়ার্কআউটের পাশাপাশি তিনি রাতেও হালকা ব্যায়াম করেন। এ সময় তিনি হাঁটতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তিনি নিয়মিত জিম এবং হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখেন। তিনি মাঝেমধ্যে একটু নিয়মের বাইরে গিয়ে নিজের পছন্দের খাবার খান। তবে খুব বেশি নিয়ম ভঙ্গ করা তাঁর পছন্দ না। তাই কোনো বিশেষ দিনে ডায়েট চার্টে একটু অনিয়ম করে ফেললে পরবর্তী সময়ে নিয়ম করে ঘুম, খাওয়া এবং শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন।