লি চাইল্ড
ছবি: সংগৃহীত

১. প্রতিদিনের শব্দসংখ্যার একটা লক্ষ্য ঠিক করুন

আমি প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ শব্দ লেখার চেষ্টা করি। আমার জন্য এটাই আরামপ্রদ। অনেকের তুলনায় এটা খুব কম। খুব চেষ্টা করলে দুই হাজার শব্দ লিখতে পারি। সময়সীমার (ডেডলাইন) কাছাকাছি পৌঁছে দেখা যায় অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি। তাই সাধারণত আমি একটু তাড়াহুড়ার মধ্যে থাকি।

আরও পড়ুন

চাকরি হারিয়ে লেখালেখি শুরু করেছিলেন, তারপর...

২. লেখক হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা হলো পাঠক হওয়া

আপনাকে হাজারো বই পড়তে হবে। তারপর নিজের মতো করে সেই ছন্দটা জাগাতে হবে। কী দিয়ে আপনি পাঠককে আঁকড়ে ধরবেন, কেমন গতিতে এগোবেন, এসবই আপনার নিজস্বতা। আমার ক্ষেত্রে আমি কোনোমতে শুরুটা করি, গল্প ভাবতে থাকি আর শেষে পৌঁছে যাই।

৩. চরিত্রই রাজা

সবকিছুই নির্ভর করে চরিত্রের ওপর। পটভূমিটাও যদি কাজে লেগে যায়, সেটা বাড়তি পাওয়া। কিন্তু দিন শেষে মানুষ চরিত্রটাই মনে রাখে। আমার কাছে এর একটা ভালো উদাহরণ হলো লোন রেঞ্জার। লোন রেঞ্জারকে মোটামুটি সবাই চেনে। কিন্তু ওর গল্পটা কেউ বলতে পারবে না।

৪. চরিত্রের প্রেমে পড়ে যেয়ো না

একটা পর্যায়ে গিয়ে লেখকেরা আত্মরক্ষামূলক হয়ে যান। চরিত্রের মধ্যে খারাপ কোনো দিক ঢোকাতে কিংবা একটা মন্দ চরিত্র দাঁড় করাতে কোথায় যেন একটা বাধা অনুভূত হয়। শুরুতে যখন রিচার লেখা শুরু করি, আমি তার সঙ্গে অন্যদের একটু দূরত্ব রাখতে চেষ্টা করেছি। পাঠক রিচারকে যতটা পছন্দ করে, আমি ততটা করি না। ফলে চরিত্রের ওপর ন্যায়বিচার করা হয়। এর মাধ্যমে সে একটা কার্টুন চরিত্রের বদলে একজন সত্যিকার মানুষ হয়ে ওঠে।

৫. শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ

যদি আপনি বইটা প্রকাশনার জন্য কোথাও জমা দেন, নিশ্চয়ই সেটা কেউ না কেউ পড়বে। অতএব প্রথম বাক্য, প্রথম অনুচ্ছেদ কিংবা প্রথম পৃষ্ঠাতেই তাঁকে আঁকড়ে ধরতে হবে। প্রথম কাজটা করতে পারলে আপনি মোটামুটি নিরাপদ থাকবেন। প্রকাশকেরা এমন একটা বই–ই চান, যেটা কেউ হাতে নেবে, পড়া শুরু করবে, আর আটকে যাবে।

৬. পরামর্শ কানে নেবেন না

আপনার বই, আপনার পণ্য। অতএব আমার সোজাসাপ্টা কথা হলো, কারও পরামর্শ বা উপদেশ শুনতে যাবেন না। বইয়ের একটা নিজস্ব, প্রাণবন্ত উপস্থাপন থাকবে। কে কী বলল বা বলবে, সেসব মাথায় রাখতে গেলে আপনি সেই মাধুর্য হারাবেন।

সূত্র: বিবিসি