কলম্বোর ফ্যাশন শোয়ে আফসানা ফেরদৌসীর পোশাক

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় ১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর হয়ে গেল মার্সিডিজ-বেঞ্জ ফ্যাশন উইক ২০২৫। পাঁচটি ভিন্ন থিমে নিজেদের পোশাক প্রদর্শন করেন নানা দেশের তরুণ ডিজাইনাররা। আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসী।

আফসানা ফেরদৌসীর পোশাকে মডেলছবি: আফসানা ফেরদৌসী
পোশাকে ছিল নকশিকাঁথার কাজ
ছবি: আফসানা ফেরদৌসী

ফ্যাশন উইকের তৃতীয় দিন ২১ নভেম্বর ‘ফিউচার ক্র্যাফট রানওয়ে’ পর্বে প্রদর্শিত হয় আফসানা ফেরদৌসীর নকশা করা পোশাক। এই পর্বের উদ্দেশ্য ছিল ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে এমনভাবে উপস্থাপন করা, যেন সেটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।

খাদি, সুতি ও লিনেন কাপড়ে দেশীয় নকশায় পোশাকগুলো তৈরি করেছেন আফসানা
ছবি: আফসানা ফেরদৌসী

‘মেমোরি অব ওয়াটার’ শীর্ষক আফসানা ফেরদৌসীর সংগ্রহটিতে ছিল নারীদের পাঁচটি ও পুরুষদের পাঁচটি পোশাক। খাদি, সুতি ও লিনেন কাপড়ে দেশীয় নকশায় পোশাকগুলো তৈরি করেছেন আফসানা। তাঁর পুরো সংগ্রহে ছিল সাদা ও নীল রঙের প্রাধান্য। রং হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে প্রাকৃতিক ইন্ডিগো ডাই ও মঞ্জিষ্ঠা।

আরও পড়ুন

আফসানা ফেরদৌসীর সংগ্রহে ছিল শাড়ি, টপ, স্কার্ফ, লুঙ্গি, প্যান্ট, শার্ট, ছেলেদের জন্য তৈরি শাল ইত্যাদি। নকশিকাঁথা সেলাইয়ে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নদীর গল্প, নদীর নাম, ফারসি কবি জালালউদ্দিন রুমির বাণী ও বঙ্গোপসাগর নিয়ে নানা ধরনের উক্তি। কাপড় দিয়ে বানানো গয়নায় দেখা গেছে পাখি, মাছ ও হাঁসের মোটিফ। এ ছাড়া ছিল শোলার মুকুট ও পাটের ব্যাগ।

আফসানা ফেরদৌসীর সংগ্রহে ছিল লুঙ্গি, ছেলেদের জন্য তৈরি শাল ইত্যাদি
ছবি: আফসানা ফেরদৌসী

আফসানা ফেরদৌসী বলেন, ‘আয়োজকেরাই মেইলে যোগাযোগ করে। এই ফ্যাশন শোতে বাংলাদেশের বয়নশিল্পের প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছি। দেশীয় উপকরণ দিয়েও যে আন্তর্জাতিক মানের পোশাক তৈরি করা যায়, তা–ই দেখাতে চেয়েছি।’ আয়োজনটিতে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন ভারত, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার ফ্যাশন ডিজাইনাররা।

আরও পড়ুন