পোশাকে এই পাঁচ ভুল মোটেই নয়

আপনার ব্যক্তিত্ব অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কীভাবে পোশাক পরেন তার ওপর। তাই পোশাক পরার ব্যাপারে অনেকেই সতর্ক থাকেন। নিজেকে উপস্থাপন করতে চান সুন্দরভাবে। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য যে দামি পোশাক পরতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বরং আপনার উপযোগী পোশাক আপনাকে করে তুলতে পারে অনন্য। তবে পোশাক পরিধানের কিছু ভুল আপনার সাজকে ম্লান ও দৃষ্টিকটু করে তুলতে পারে। তাই যতই দামি বা কম দামি, ব্র্যান্ড বা নন-ব্র্যান্ডের পোশাকই পরুন না কেন, এই ভুলগুলো কখনো করবেন না—

আপনার ব্যক্তিত্ব অনেকটাই নির্ভর করে আপনি কীভাবে পোশাক পরেন তার ওপর
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

ওভারসাইজড পোশাক বুঝে পরুন


অনেকেই নিজের গায়ের মাপের চেয়ে একটু ঢোলা বা ব্যাগি জামাকাপড় পরেন। ভাবেন, এতে নিজের বাড়তি ওজন কম লাগতে পারে। তবে বড় মাপের পোশাকে কাউকে দেখলে মনে হতে পারে ও নিজের পোশাক বাছার প্রতি সতর্ক নয়। স্টাইলিশ ভাবটা মুহূর্তেই উধাও হয়ে যায়।

শার্ট হোক, টপস হোক আর সালোয়ার-কামিজ, নিজের শরীরের সঙ্গে মানানসই মাপের পোশাক পরুন। দেখতে ভালো লাগবে। আর আপনি যদি ওভারসাইজড ফ্যাশনে অভ্যস্তও হন, তবে নিজের সাইজের চেয়ে এক সাইজের ওপরের পোশাক আপনাকে মানাবে। এর বেশি নয়।

বুঝে পরুন ওভারসাইজড
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

কুঁচকানো পোশাক নয়


একটা ভালো ও সুন্দর পোশাকের আবেদন মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারে, যদি সেটি কুঁচকানো হয়। বেশির ভাগ সময় আমরা বাইরে যাওয়ার আগে হাতের কাছে যা পাই, তা–ই পরে নিই। জামাটি ভাঁজ করে রাখার ফলে কুঁচকে আছে কি না, সেটা খেয়াল রাখি না। কিন্তু আপনার পোশাক কুঁচকে থাকলে অন্যরা ভাবতে পারে আপনি নিজের ব্যাপারে উদাসীন।

তাই পোশাক পরার আগে আপনার পোশাকটি কুঁচকানো কি না, খেয়াল করুন। প্রয়োজনে দ্রুত ইস্তিরি করে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় বাইরে থেকে এসে পোশাকটি একটি হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখলে। আবার সেটি ইস্তিরি করে উঠিয়ে রাখলেন! এতে পোশাক বারবার ধোয়ার ফলে উজ্জ্বলতা হারাবে না।

একটা ভালো ও সুন্দর পোশাকের আবেদন মুহূর্তেই হারিয়ে যেতে পারে, যদি সেটি কুঁচকানো হয়
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

বেমানান বেল্ট

পুরুষদের পোশাকের এক অন্যতম অনুষঙ্গ বেল্ট। এখন নারীদের কাছেও বেল্ট বেশ জনপ্রিয়। শাড়ির সঙ্গে হরহামেশাই চলে বেল্ট। চেষ্টা করুন আপনার বেল্টটি যেন জুতার রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি জুতা আর বেল্ট একই রঙের পরতে পারেন। তবে বেল্টের বাকলটি যেন আপনার শরীরের সঙ্গে মানানসই হয়। বেশি বড় মেটালের বাকলযুক্ত বেল্ট কিনবেন না। দেখতে খারাপ লাগে।


নারীদের লম্বা জামা বা জিনসের সঙ্গেই অনেক সময় বেল্ট দেওয়াই থাকে। সেসব বেল্টগুলো বেশির ভাগ সময়ই খুব চিকন বা পাতলা হয়। ফলে জামা বা প্যান্ট পরার পর এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। দেখতেও ‘সস্তা’ লাগে। পোশাকের সঙ্গে যে বেল্টগুলো আসে, তা পরা এড়িয়ে চলুন। তার চেয়ে একটি টেকসই, ভালো মানের, পোশাকের সঙ্গে মানানসই বেল্ট পরুন। এতে আপনার সাজ পাবে নতুন মাত্রা। আর দেখতেও লাগবে ক্ল্যাসি!

শাড়ির সঙ্গে হরহামেশাই চলে বেল্ট। কেডসও চলে এসেছে ট্রেন্ডে
ছবি: সংগৃহীত

লেখাযুক্ত টি–শার্ট সাবধানে...

তরুণদের কাছে টি–শার্টের আবেদন কখনো ফুরাবার নয়। স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করে আজকাল অনেকে অফিসেও পরে আসেন টি–শার্ট। তবে অফিসে বা কোনো অনুষ্ঠানে টি–শার্ট পরার ব্যাপারে অনেকেই একটা ভুল করে বসেন। অনেক উল্টাপাল্টা লেখা, বাণী বা কার্টুন আঁকা টি–শার্ট পরেন। এসব পোশাক আপনাকে সবার কাছে অগ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারে।

কারণ, এতে প্রমাণিত হয় পোশাক সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অপরিণত। তাই অদ্ভুত ছবি, লেখা বা ক্যালিগ্রাফি আঁকা টি-শার্ট এড়িয়ে চলুন। লেখাযুক্ত টি–শার্ট পরার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন সেটি যেন অর্থবহ ও দৃষ্টিনন্দন হয়।

রঙে ভারসাম্য জরুরি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

অনেক উজ্জ্বল রঙ একসঙ্গে

পোশাকে একসঙ্গে অনেক উজ্জ্বল রং আপনার সাজকে করে তুলতে পারে অনাকর্ষণীয়। অনেকগুলো উজ্জ্বল রং দেখতে ভালো লাগে না। আপনার ফ্যাশনের ‘ফোকাস পয়েন্ট’ নষ্ট হয়ে যায়। আপনার স্বাভাবিক চেহারা এবং উপস্থাপনেও অতিরিক্ত উজ্জ্বল পোশাক প্রভাব ফেলে। আপনার নিজস্বতাকে নষ্ট করে। আবার বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান ছাড়া যখন আপনি অনেক উজ্জ্বল রঙের কাপড় পরবেন, তখন ভারী সাজসজ্জা সবার ‘চোখে লাগে’।

পোশাকের ক্ষেত্রে এক রঙের কাপড়ে আপনার ব্যক্তিত্ব ভালোভাবে প্রকাশিত হয়। সাদা, কালো, ক্রিম, আকাশি, গোলাপির মতো হালকা রংগুলো বেছে নিতে পারেন আপনার প্রতিদিনের পোশাক হিসেবে। এতে আপনাকে দেখাবে মার্জিত ও সুরুচিপূর্ণ।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন