আমি আগে লেখক, পরে ছাত্র

ছাত্রজীবন থেকেই অনেকে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত হন। এবারের অমর একুশে বইমেলায়ও বেরিয়েছে এমনই কারও কারও বই। তরুণ এসব লেখকের ভাবনার জগৎ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেছিলাম আমরা। কী পড়ছেন তাঁরা? কী লিখছেন? কোথায় খুঁজছেন অনুপ্রেরণা? পড়ুন কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ অংকন এর কথা।

মোহাম্মদ অংকন
ছবি: সংগৃহীত

শৈশব-কৈশোর থেকেই লেখালেখির শুরু। ২০১৬ সালে ঢাকায় আসার পর লেখালেখির গতিটা বাড়ে। লেখক-সমাজের সঙ্গে যোগাযোগও বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে একটি পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। সেটার মাধ্যমে ২০১৯ বইমেলায় প্রথম বই প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন

মেলায় এবার নতুন দুটি বই আসছে। এর মধ্যে শিশুদের উপযোগী বইও আছে। একটা কথা সবাই বলে—লেখক হতে গেলে পাঠক হতে হয়। সমকালীন লেখকদের বই আমি বেশি পড়ি। হুমায়ূন আহমেদ, আনিসুল হকসহ জনপ্রিয় লেখকদের উপন্যাস পড়তে বেশ লাগে। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ও আনিসুল হকের কিশোরসাহিত্য আমাকে ভীষণ টানে।

আমি মানুষের মধ্যে গল্প খুঁজি। যা দেখি, তা গভীরভাবে অবলোকন করি। আশপাশের ঘটনা বা মানুষের মধ্যে যখন কোনো গল্প বা চরিত্র খুঁজে পাই, লিখে ফেলি। পাশাপাশি বই পড়েও নিজেকে প্রস্তুত করি। লিখতে হলে জানতে হয়। যে যত জানবে, সে তত লিখতে পারবে। লেখালেখি করতে গিয়ে কখনো লেখাপড়ায় ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয়নি। বরং পড়ালেখা করতে গিয়ে লেখালেখির ক্ষতি হলো কি না, মাঝেমধ্যে ভাবি। আমি আগে লেখক, পরে ছাত্র—এটাই ভাবতে ভালো লাগে।

বই নিয়ে সবচেয়ে ভালো লাগার মূহূর্ত হলো, পাঠককে অটোগ্রাফ দেওয়া। বইমেলার সময় এটাই বেশি উপভোগ করি। অপরিচিত পাঠককেও যখন আমার বইয়ে অটোগ্রাফ দিই, তখন যেন নিজেকে সত্যিকারের লেখক মনে হয়। লেখক হওয়ার স্বপ্নটা আরও প্রসারিত হয়।

এখন বিশ্ববিদ্যালয়জীবন শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে সরকারি চাকরিতেও প্রবেশ করেছি। জীবনে পাওয়ার খাতায় তো অনেক কিছুই যোগ হয়েছে। তাই এখন আগের চেয়ে বেশি লেখালেখির কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করব। যত দিন বাঁচব, তত দিন এ নেশা জিইয়ে রাখব। লেখক এক দিনে হওয়া যায় না। এটি সাধনার ফল। আমি আজীবন লিখতে চাই, এই সাধনা করতে চাই।