কতবেল যেভাবে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে

দেশি মৌসুমি ফল কতবেল সুস্বাদু, বেশ পুষ্টিকরও। তবে কীভাবে খেলে এই ফল থেকে সবচেয়ে বেশি উপকার মিলবে, সে প্রশ্নের উত্তর হয়তো জানা নেই অনেকেরই। এ বিষয়ে জানালেন, টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান

দেশি মৌসুমি ফল কতবেল সুস্বাদু, বেশ পুষ্টিকরওছবি: প্রথম আলো

কতবেল ভিটামিন সির ভালো উৎস। এতে আরও আছে কিছুটা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ফোলেট, ক্যালসিয়াম এবং নানা খনিজ উপাদান। আরও আছে দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান আঁশ।

কতবেল সাধারণত লবণ আর মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া হয়। তবে কেউ আবার আচারও করেন। বৈচিত্র্যের খোঁজে জুস, জেলি, এমনকি আলুর দমের মতো পদেও কতবেল ব্যবহার করা যায়।

আচার, জেলি বা রান্নায় ব্যবহার

তাপে ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। পানিতে দ্রবণীয় হওয়ায় কতবেলের ভিটামিন বির বেশির ভাগটাই বাষ্প হয়ে উড়ে যায় আচার বা জেলি তৈরির সময় বা রান্নায় ব্যবহারের সময়।

তাই কতবেলের এ ধরনের পদ খেতে চাইলে আপনি এই দুটি পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হবেন। অবশ্য অন্যান্য পুষ্টি উপাদান ঠিকই মিলবে।

তবে কোনো পদে চিনি যোগ করা হলে সেটি এমনিতেও খুব একটা স্বাস্থ্যকর থাকে না। কারণ, চিনি দেওয়া পদ খেলে রক্তের গ্লুকোজ বাড়ে হুট করে।

এই গ্লুকোজ আবার মেদ হিসেবে জমাও হয় সহজে। চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় ব্যবহার করাও স্বাস্থ্যকর নয়।

চিনি বা গুড় দেওয়া কোনো পদ নিয়মিত কিংবা খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া কারও পক্ষেই ভালো নয়। আর ডায়াবেটিস থাকলে এমন পদ অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন

কতবেল মাখানো বা ভর্তা

মাখিয়ে বা ভর্তা করে খেলে কতবেলের সব পুষ্টি উপাদানই পাবেন। কতবেল এভাবে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।

দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং ত্বকের তারুণ্য ও সজীবতা ধরে রাখতে কতবেল দারুণ কাজে আসে। কতবেল এবং অন্যান্য ফল খেলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও কমে।

দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে এবং ত্বকের তারুণ্য ও সজীবতা ধরে রাখতে কতবেল দারুণ কাজে আসে
ছবি: আনিস মাহমুদ

কতবেলের জুস

কতবেল এবং অন্যান্য খাবার থেকে পাওয়া আঁশ আমাদের রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পায় খাবারের আঁশ থেকে। তবে কতবেলের জুসে আপনি আঁশ পাবেন না।

কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর জন্যও পর্যাপ্ত আঁশ প্রয়োজন রোজ। কতবেলের জুস করলে আপনি এসব উপকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

আরও পড়ুন

খেয়াল রাখুন

কতবেল ভিটামিন সি এর ভালো উৎস
ছবি: আব্দুল মোমিন
  • ক্ষুধামান্দ্যয় ভুগলে খানিকটা কতবেল খেতে পারেন যেকোনোভাবেই। রুচি বাড়াতে সহায়তা করে এই ফল।

  • অতিরিক্ত কতবেল খেলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে।

  • বাড়তি লবণ কারও জন্যই খুব একটা ভালো নয়। বিশেষত যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে কিংবা এমন সমস্যা আছে, যাতে শরীরে পানি আসে—তাঁদের বাড়তি লবণ এড়িয়ে চলা উচিত।

  • দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কতবেল এড়িয়ে চলা উচিত।

আরও পড়ুন