সিক্স প্যাক বানাতে চাইলে এসব বিষয় জেনে রাখুন

বক্সার সুরো কৃষ্ণ চাকমাছবি: সুমন ইউসুফ

সাধারণত সিক্স প্যাক বলতে মেদহীন সুঠাম দেহের ফিট মানুষকে বোঝায়। অথচ সবার শরীরেই সিক্স প্যাক আছে, চর্বিযুক্ত শরীরের কারণে যা দৃশ্যমান নয়। পরিশ্রম, ব্যায়াম বা ডায়েটের মাধ্যমে পেটের ও বুকের চর্বি ঝরালেই ভেসে ওঠে সিক্স প্যাক। স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন অঙ্গনের তারকা, বিশেষ করে সিনেমার নায়কদের দেখে তরুণদের সিক্স প্যাক বা পেটানো শরীরের প্রতি আগ্রহ জন্মে। এ জন্য অনেকেই জিমে ছোটেন, ডায়েট চার্ট অনুসরণ করেন। সিক্স প্যাক বা পেশিবহুল শরীর বানাতে ওয়েট লিফটিং বা স্কোয়াটের মতো কঠিন ব্যায়ামও করেন অনেকে। সিক্স প্যাক দৃশ্যমান করার এসব পন্থার কিছু ভালো ও খারাপ দিক আছে।

ভালো দিক

আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন: সিক্স প্যাকের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো এতে শরীর ফিট থাকে আর শারীরিক গঠন হয় আকর্ষণীয়।

সিক্স প্যাকের জন্য যেসব ব্যায়াম করা হয়, তাতে হাড় ও জয়েন্টের দৃঢ়তা বাড়ে
ছবি: পেক্সেলস

ওজন নিয়ন্ত্রণ: প্রতিদিন নিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যায়াম করায় ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পেশিশক্তি বৃদ্ধি: পেশি গঠন করলে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। কাজের স্পৃহা ও কর্মক্ষমতা বাড়ে। দৈনন্দিন কাজে সহনশীলতা বাড়ায় ও কাজগুলো সহজ হয়।

হাড়ের দৃঢ়তা বৃদ্ধি: সিক্স প্যাকের জন্য যেসব ব্যায়াম করা হয়, তাতে হাড় ও জয়েন্টের দৃঢ়তা বাড়ে। ফলে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমে।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে: সুন্দর শারীরিক গঠন আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।

খারাপ দিক

পেশিতে চোট: অতিরিক্ত ব্যায়াম করার সময় পেশিতে চোট পড়তে পারে। অতিরিক্ত ওজন তোলার সময় অনেকের ক্ষেত্রে হাড় ভেঙে যাওয়াসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।

ওষুধের ব্যবহার: অনেকে তাড়াতাড়ি পেশি বানানোর জন্য স্টেরয়েড–জাতীয় ওষুধ বা টেস্টোস্টেরন হরমোন ব্যবহার করেন, যা অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব ওষুধ হৃৎপিণ্ড ও কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করে।

ব্যায়াম করার পরও আশানুরূপ পেশি গঠিত না হলে অনেকে হতাশ হন ও বিষণ্নতায় ভোগেন
ছবি: পেক্সেলস

হতাশা ও বিষণ্নতা: ব্যায়াম করার পরও আশানুরূপ পেশি গঠিত না হলে অনেকে হতাশ হন ও বিষণ্নতায় ভোগেন।

সিক্স প্যাক বানানো ভালো না খারাপ সেটা নির্ভর করবে কীভাবে বানানো হচ্ছে, তার ওপর। যদি প্রাকৃতিক উপায়ে করা হয়, তাহলে সবচেয়ে ভালো। তবে জিম করলে অবশ্যই ভালো প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থেকে করতে হবে। কোনোভাবেই স্টেরয়েড–জাতীয় ওষুধ নেওয়া যাবে না। ডায়েটের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। অতিরিক্ত ব্যায়াম বা ভারসাম্যহীন ডায়েট করা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

ডা. আফলাতুন আকতার জাহান, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা

আরও পড়ুন