রাতের যে ৪ অভ্যাস স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

ডা. সৌরভ শেঠি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করা গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট। তিনি বলেন, ‘ঘুমানোর আগের সময়টা আমাদের দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। কেননা এ সময় আপনি যা করেন, যা খান, তা সরাসরি ও গভীরভাবে আমাদের শরীর, ঘুম, হজমপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।’ অনলাইনের দুনিয়ায় এই চিকিৎসক দারুণ জনপ্রিয়। কেবল ইনস্টাগ্রামেই তাঁর অনুসারী ছাড়িয়ে গেছে ১১ লাখ। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন ৪টি অভ্যাসের কথা, যেসব বাদ দিলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

ঘুমানোর আগের সময়টা আমাদের দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়
ছবি: পেক্সেলস

১. রাতে ভারী খাবার না খাওয়া

রাতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া বা তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের হজমে অসুবিধা হতে পারে। ইনসুলিন স্পাইক হতে পারে। হতে পারে ঘুমের সমস্যা। অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও মেটাবলিক ইস্যু থেকে মুক্তি পেতে ঘুমের দু-তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাওয়া শেষ করুন। রাতের খাবার হালকা রাখুন।

২. সূর্য ডোবার পর ক্যাফেইনজাতীয় খাবার নয়

সূর্য ডোবার পর চা বা কফি নয়
ছবি: পেক্সেলস

আমাদের শরীরে চায়ের প্রভাব থাকে ৪ ঘণ্টা পর্যন্ত আর ৬ ঘণ্টা থাকে কফির প্রভাব। তাই রাতে নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য সূর্য ডোবার পর চা বা কফি নয়।

আরও পড়ুন

৩. বিছানায় ফোন নয়

মুঠোফোনের নীল আলো আমাদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরিত হতে বাধা দেয়
ছবি: পেক্সেলস

বিছানায় যাওয়ার আগে ফোনকে ছুটি দিন। মুঠোফোনের নীল আলো আমাদের শরীরে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরিত হতে বাধা দেয়। এই মেলাটোনিনের প্রভাবেই আমাদের ঘুম আসে। এ কারণে ঘুমের ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা আগে থেকে ফোনটা দূরে রাখুন।

৪. স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণ করুন

মানসিক চাপ কমাতে মিউজিক থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন
ছবি: পেক্সেলস

মাথার সঙ্গে পেটের সম্পর্ক গভীর। আপনি স্নায়ুচাপে থাকলে পরিপাকে অসুবিধা হয়। রাতে ঘুম আসে না। তাই ঘুমের আগে এমন কিছু করবেন না, যাতে স্নায়ুচাপ বাড়ে। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। মানসিক চাপ কমাতে মিউজিক থেরাপির সাহায্য নিতে পারেন। ঘুমানোর আগে গভীরভাবে শ্বাস নিন, ধীরে ধীরে ছাড়ুন।  

সূত্র: এমএসএন

আরও পড়ুন