নাশতা করতে করতে মিটিং

অফিসে যাওয়া শুরু করার পর অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে নতুন কালচার—ব্রেকফাস্ট মিটিং। প্রাতরাশ সারতে সারতে এ ধরনের মিটিং করার প্রবণতা চলতি বছর অনেক জায়গাতেই দেখা গেছে।

নাশতার ফিরে আসা

নতুন কালচার—ব্রেকফাস্ট মিটিং
ছবি: অধুনা

করোনা বিধিনিষেধের কারণে বছরের একটা সময় ঘরবন্দী ছিলেন কমবেশি সবাই। এই সময়ে বাসায় নিয়মিত খাবার গ্রহণের অভ্যাসে ফিরেছেন অনেকেই। বিশেষ করে তাড়াহুড়োর কারণে বাদ পড়ে যাওয়া সকালের নাশতাও ঠিকমতো হয়েছে। আবার অফিসে যাওয়া শুরু করার পর অনেক প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে নতুন কালচার—ব্রেকফাস্ট মিটিং। প্রাতরাশ সারতে সারতে এ ধরনের মিটিং করার প্রবণতা চলতি বছর অনেক জায়গাতেই দেখা গেছে। রাজধানীর গ্লোরিয়া জিনস কফি রেস্তোরাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই মিটিং সেরেছেন সকালে টেবিল বুকিং দিয়ে। আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হতো কর্মীর সংখ্যা। সেইমতো রেস্তোরাঁর টেবিল সাজিয়ে রাখতেন।

অনেক রেস্তোরাঁয় আবার মিটিং করার জন্য ছোট ছোট রুমও আছে। যেখানে খেতে খেতে সভা করার সুযোগ মিলবে। প্রজেক্টর বা সাউন্ডপ্রুফ সুবিধার কক্ষের কারণে অনেক রেস্তোরাঁ বিশেষভাবে জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।

স্বাস্থ্যকর খাবারে ঝোঁক

মৌসুমি ফল খাওযার চেষ্টা করছেন সকলে
ছবি: অধুনা

করোনার এই সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ঝোঁক বেড়েছে। সুস্থ থাকতে ও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে ভেবেছে মানুষ। খাদ্যতালিকায় যোগ হয়েছে ভিটামিন সি-যুক্ত লেবু, কমলা ও ভিটামিন ডি-যুক্ত বাদাম, মাছ ও ফল। অনেকে ভিটামিন ডি পেতে রোদ পোহানোর দিকেও ছিলেন যত্নবান।

দীর্ঘদিন ঘরে থাকার কারণে বাইরের খাওয়ার প্রবণতাও দেখা গেছে কম। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে অনেকেই শিখেছেন রান্না। তরল খাবার ও মৌসুমি ফল খেয়ে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টাও ছিল। সব মিলিয়ে পুরো বছরেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি দেখা গেছে ঝোঁক।