আজ রাত সাড়ে ৮টা–সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কেন সব বাতি নিভিয়ে রাখতে হবে, জানেন?

আজ ২৫ তারিখ, মার্চের শেষ শনিবার—আর্থ আওয়ার ডে

যখন বিদ্যুৎ আবিষ্কৃত হয়নি, পৃথিবী কেমন ছিল তখন? কেমন ছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন?

যেমনই থাক, মানুষ অন্তত প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না। বিদ্যুতের হাত ধরে আধুনিকতার দিকে মানুষের যে বিবেচনাহীন যাত্রা, মানুষকে ক্রমেই তা বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত, নিঃসঙ্গ ও একঘরে করে ফেলেছে। বিদ্যুতের কল্যাণে পাওয়া আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আমাদের কেবলই ভোগবাদী বানিয়েছে। দিনের পর দিন প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করছি। প্রকৃতির দায় মেটানোর দায়িত্বও যে আমাদের আছে, তা বেমালুম ভুলতে বসেছি। ফলে আধুনিক সহজ জীবন পাওয়া গেছে বটে কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে আর বন্ধুভাব রাখা যায়নি। বহু দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াসে বিশ্বজুড়ে নানামুখী উদ্যোগ চলমান। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ‘আর্থ আওয়ার’।

আরও পড়ুন

পৃথিবীর জন্য এক ঘণ্টা—‘ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচার’ যে ধারণা সামনে আনল, তা এখন সারা বিশ্বেই দারুণ সমাদৃত। আমাদের দৈনন্দিন জীবন, প্রতিদিনের ব্যবহৃত সরঞ্জাম, আধুনিক কল-কারখানা, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি—কোনো কিছুই তো বিদ্যুৎ ছাড়া কল্পনা করা যায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এ সবকিছুর জন্য সময় রাখা আছে যত্ন করে। কেবল আমাদের যে নিরাপদ আশ্রয়, মাতৃক্রোড় ‘পৃথিবী’, তার জন্য নেই এতটুকু সময়।

‘আর্থ আওয়ার’ হচ্ছে বছরের একটি নির্দিষ্ট দিনে এক ঘণ্টা সময় বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনার আলো নিভিয়ে রাখা। ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউসে এক ঘণ্টার জন্য বাতি নিভিয়ে শুরু হয় এই সচেতনতামূলক কর্মসূচি। প্রতিবছর মার্চ মাসের শেষ শনিবার দিনটি পালিত হয়। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে দেড় শতাধিক দেশ এটি পালন করে। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সব বাতি নিভিয়ে রাখা হয়।

আজ ২৫ তারিখ, মার্চের শেষ শনিবার—আর্থ আওয়ার ডে। এক ঘণ্টার জন্য সব বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে দিনটি পালন করা যেতে পারে।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে