বাংলাদেশে পড়াশোনা শেষ করে আমি ফিলিপাইনের এটেনিও দ্য ম্যানিলা ইউনিভার্সিটিতে এশিয়ান লিডারশিপ নিয়ে পিএইচডি করতে আসি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভারত, মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার অনেক দেশের শিক্ষার্থীরাই পড়তে আসেন। এখানে এসে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে পেয়ে একটু অবাকই হয়েছি। টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিংয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বলেই মূলত এটা বেছে নিয়েছিলাম। ইউনিভার্সিটি অব ফিলিপিনস, দে লা সালে ইউনিভার্সিটি, এটেনিও দে মানিলা ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সানতো তমাসসহ বেশ কয়েকটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয় আছে।
এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি, তবে তুলনামূলকভাবে সংখ্যায় বাংলাদেশিরা অনেক কম। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি, জীববিজ্ঞান, পরিবেশ, বনায়ন, জিনবিদ্যা ও স্বাস্থ্য, উন্নয়ন প্রশাসন/ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে পড়তে আসেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আলাদাভাবে আবেদন করতে হয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এখানে খণ্ডকালীন কাজের অনেক সুযোগ পান। ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাক অফিস (দূরনিয়ন্ত্রিত) ফিলিপাইনে। যে কারণে ইংরেজি ভাষা জানলে পড়ার পাশাপাশি কাজও পাওয়া যায়।