রোবটিকসে কাকতাড়ুয়ার জয়
দলের নাম কাকতাড়ুয়া। নাম শুনে বোঝার উপায় নেই, রোবটিকস নিয়ে তাঁদের কারবার। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের একদল শিক্ষার্থী মিলে এই দল গড়েছেন। ভিন্ন ভিন্ন কার্যক্ষমতাসম্পন্ন রোবট তৈরি করেন তাঁরা। অংশ নেন প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়।
গত আগস্টে আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেছিল ‘অস্ট রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২২’–এর আসর। তাতে ‘হার্ডওয়্যার শোকেসিং’ বিভাগে অংশ নিয়ে প্রথম হয়েছে কাকতাড়ুয়া। তাদের প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষিকাজের আধুনিকায়ন। প্রকল্পটির জন্য অ্যাগ্রোবট, অ্যাগ্রোড্রোন এবং স্মার্ট কাকতাড়ুয়া নামের তিনটি আলাদা কাজ করতে সক্ষম রোবট তৈরি করতে হয়েছে।
কম লোকবল ব্যবহার করে কম সময়ে উৎপাদন বাড়ানোই ছিল এসব রোবট তৈরির উদ্দেশ্য। কাকতাড়ুয়ার রোবটগুলো দর্শনর্থী ও বিচারকদের প্রশংসা পেয়েছে।
সেপ্টেম্বরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ক্লাব এবং জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় ‘৬ষ্ঠ জাতীয় বিজ্ঞান মেলা’। বিইউবিটির শিক্ষার্থীদের দুটি দল আলাদা প্রকল্প নিয়ে তাতে অংশ নেন। বিইউবিটির দুটি দল, ‘কাকতাড়ুয়া’ এবং ‘ক্লিন রোবো’ আয়োজনের ‘প্রজেক্ট শো’ বিভাগে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।
এ মাসে গাজিপুরের ঢাকা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘টেকফেস্ট আইআইটি, বোম্বে’র বাংলাদেশ আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ীদের তালিকায়ও জায়গা করে নিয়েছেন বিইউবিটির তরুণ উদ্ভাবকেরা। সব ঠিক থাকলে, আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে মুম্বাইয়ের আইআইটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠেয় টেকফেস্টে অংশ নেবেন শিক্ষার্থীদের এই দল।
বিইউবিটির রোবটিকস দলের বিভিন্ন প্রকল্পের সদস্যরা হলেন মৃদুল হাসান, বায়েজিদ, মাহিম আলম, আশিকুর হাসান এবং মিফাত আহমেদ। রোবটিকস দলের সদস্যরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফৈয়াজ খান এবং কর্তৃপক্ষের সহায়তা তাঁদের সাহস জুগিয়েছে।